রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় পুলিশ আরেক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম আলফাজ। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, আলফাজ সরাসরি ওই দম্পতিকে কোপ দিয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে ঘটনার পরপরই রবি রায় (২২) ও মো. মোবারক হোসেন (২৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, এই ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত রয়েছেন, যারা এখনও পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আহত দম্পতি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তারা শঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার ইপ্তি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার আমির কমপ্লেক্স থেকে কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার পথে দম্পতি মেহেবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে তিন ব্যক্তিকে দুটি মোটরসাইকেলে করে বিকট শব্দ করে দ্রুত গতিতে চালাতে দেখেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দিলে রিকশার যাত্রীর সঙ্গে মোটরসাইকেল চালক মোবারক হোসেনের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এ সময় রিকশার পিছনে থাকা মেহেবুল ও নাসরিন তাদের ঝামেলা করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় সজিব নামে এক ব্যক্তি ফোন করে সহযোগীদের ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। প্রায় ১০ মিনিট পর ৪-৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মেহেবুল হাসানকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। নাসরিন আক্তার ইপ্তি তার স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকেও রামদা দিয়ে আঘাত করে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় রবি ও মোবারককে গ্রেপ্তার করে। আহত দম্পতিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও রাতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। মাত্র ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কের পাশে একটি বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী ও এক পুরুষকে আঘাত করছেন দুই যুবক। পরে হামলাকারী দুই যুবক রামদা হাতে নিয়ে ফুটপাত ধরে সামনের দিকে চলে যায়।