ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত কারাগারে নববর্ষ, তবু হাস্যোজ্জ্বল শাজাহান খান বললেন: ‘বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি’ দেশ-বিদেশে এস আলম গ্রুপের আরও জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান গাইবান্ধায় পরিত্যক্ত কুপে মিলল অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের অর্ধগলিত লাশ নেত্রকোনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানি গ্রেফতার নোয়াখালীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ জারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির আবেদন শুরু সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন: পাঁচটিতে বাদ পড়েছে নজরুল ইসলাম বাবুর নাম ‘প্রো-বাংলাদেশ’ নীতিই অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার: প্রেস সচিব

ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিতে ৩০ শতাংশ মানুষ, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছে। ফ্যাটি লিভার হচ্ছে যকৃতে চর্বি জমে যাওয়া এবং এটি যদি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তবে এটি লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা বর্তমানে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা শহর এলাকায় প্রায়শই ফ্যাটি লিভারের রোগীদের দেখি। এখন গ্রামেও রোগী বাড়ছে। দেশে প্রায় ৫ শতাংশ লিভার সিরোসিস রোগী ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণ ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ।’

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা এনএইচএস জানায়, যকৃতে কিছুটা চর্বি থাকাটাই স্বাভাবিক, তবে যাদের যকৃতের ১০ শতাংশের বেশি চর্বি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ফ্যাটি লিভার হিসেবে বিবেচিত হয়। যারা অতিরিক্ত শর্করা ও তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ করেন এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তাদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি।

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে ২৩ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পুরুষ ফ্যাটি লিভারের আক্রান্ত। শহরের অন্যান্য অঞ্চলেও এই সমস্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে।

চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ মাহফুজা আফরোজ সাথী বলেন, ‘যারা শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খান এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তাদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এজন্য শর্করা জাতীয় খাবার কমানো, এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত হাঁটা ও শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন।’

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

জনপ্রিয়

আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত

ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিতে ৩০ শতাংশ মানুষ, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছে। ফ্যাটি লিভার হচ্ছে যকৃতে চর্বি জমে যাওয়া এবং এটি যদি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তবে এটি লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা বর্তমানে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা শহর এলাকায় প্রায়শই ফ্যাটি লিভারের রোগীদের দেখি। এখন গ্রামেও রোগী বাড়ছে। দেশে প্রায় ৫ শতাংশ লিভার সিরোসিস রোগী ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণ ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ।’

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা এনএইচএস জানায়, যকৃতে কিছুটা চর্বি থাকাটাই স্বাভাবিক, তবে যাদের যকৃতের ১০ শতাংশের বেশি চর্বি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ফ্যাটি লিভার হিসেবে বিবেচিত হয়। যারা অতিরিক্ত শর্করা ও তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ করেন এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তাদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি।

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে ২৩ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পুরুষ ফ্যাটি লিভারের আক্রান্ত। শহরের অন্যান্য অঞ্চলেও এই সমস্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে।

চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ মাহফুজা আফরোজ সাথী বলেন, ‘যারা শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খান এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তাদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এজন্য শর্করা জাতীয় খাবার কমানো, এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত হাঁটা ও শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন।’

ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।