দখলদার ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে কঠোর অবরোধের মুখে গোটা উপত্যকায় খাদ্য, পানীয়সহ সব ধরনের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক ও ত্রাণকর্মীরা।
৯ এপ্রিল, বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে প্রায় ৬০,০০০ শিশু ‘অপুষ্টির কারণে চরম স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকিতে রয়েছে’।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর জারি করা বাস্তুচ্যুতির নির্দেশনার কারণে ২১টি পুষ্টিকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ইতোমধ্যেই অপুষ্টিতে ভোগা প্রায় ৩৫০ শিশুর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানায়, সন্ত্রাসী সনইসরায়েল গাজায় গণহত্যামূলক আগ্রাসন ও শিশুদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালাচ্ছে। এ জন্য ইসরায়েলি নেতাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রতি বছর ৫ এপ্রিল ফিলিস্তিনে শিশু দিবস পালিত হয়। তবে এবার দিবসটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গাজায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ১৯,০০০ শিশু নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ২৭৪টি নবজাতক ও ৮৭৬ টি এক বছরের কম বয়সি শিশুও রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০,৮১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১,১৫,৬৮৮ জন আহত হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের সরকারি মিডিয়া অফিস নিখোঁজ থাকা ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আপডেট করে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৬২,৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: আলজাজিরা নিউজ