অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ না পৌছালে সামনের দুইদিনে বা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচারের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির সাংবাদিক আনা ফস্টারকে টম ফ্লেচার বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা যতটা সম্ভব এই শিশুগুলোকে বাঁচাতে চাই। মানবিক সাহায্য দিয়ে গাজা উপত্যকায়ে আমাদের ভাসিয়ে দিতে হবে।”
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কীভাবে তিনি এত বড় সংখ্যায় শিশু মৃত্যুর শঙ্কার বিষয়ে অনুমান করতে পারলেন। জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের সেখানে শক্তিশালী টিম আছে। অবশ্যই তাদের অনেকে নিহত হয়েছেন। এরপরেও এখনও অনেকে আছেন। তারা চিকিৎসাকেন্দ্রে আছেন, তারা স্কুলে আছেন। তারা চাহিদা মূল্যায়নের চেষ্টা করছেন।”
ফ্লেচার আশা করছেন, মঙ্গলবারই একশ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। তবে বাস্তবতা হলো, কেবল পাঁচটি ট্রাককে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো যদিও শিশুদের জন্য দরকারি খাবার ও উপকরণ বোঝাই।
মঙ্গলবার আর কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারবে কিনা- সে বিষয়টা একেবারে অনিশ্চিত। এ ছাড়াও যে সামান্য সহায়তা পৌছেছে- তা এখনও শিশুদের কাছে পৌছায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ফ্লেচার।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে উদ্বেগ জানিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা হুঁশিয়ারি দিয়েছে—এই ‘চরম মাত্রার’ হামলা বন্ধ না হলে তারা ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিতে বাধ্য হবে।
বিবিসিতে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের লেবার নেতা ও প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
তিন দেশের এই বিবৃতির সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “এটি হামাসের জন্য একটি বিশাল পুরস্কার। গাজা যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি এবং আমরা পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাই।”