এদিন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পেঠাপুরে একটি নবনির্মিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন এবং একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে ভাষণে অমিত শাহ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মিরের পাহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়। এই অভিযানে আমাদের বাহিনী পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরসহ তাদের মূল ভূখণ্ডে সক্রিয় জইশ-ই-মুহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়েবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিকে নিশানা করেছে। এই অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে।’
অমিত শাহ আরও দাবি করেন, ‘আমরা পাকিস্তানে ৯টি জঙ্গি শিবির ধ্বংস করেছি, যেখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এবং বিভিন্ন হামলার ছক কষা হতো। পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ১০০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে আমরা এই সাফল্য অর্জন করেছি, তবে সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের কোনো ক্ষতি করা হয়নি। কিন্তু তাদের বিমান হামলার সক্ষমতাকে আমরা সম্পূর্ণ অচল করে দিয়েছি। স্বাধীনতার পর এই ধরনের সফল অভিযান এই প্রথম।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘শিয়ালকোটের মতো এলাকায় যেসব আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যকলাপের পরিকল্পনা চলছিল, সেগুলোকেও চিহ্নিত করে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তার মতে, পুরো বিশ্ব এখন ভারতের এই সাহসিকতা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রশংসা করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, ‘মোদিজির নেতৃত্বেই ভারত আজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এমন কঠোর অবস্থান নিতে পেরেছে। পাকিস্তান যতই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হোক না কেন, আমরা তাদের ভয় পাই না। আমাদের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী – তিনটিই আজ সম্পূর্ণ প্রস্তুত, সজাগ ও ভয়হীন।’
পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমাদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোনকেও ভারতের মাটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি। উল্টে, আমরা তাদের ১১টি বিমানঘাঁটির রাডার, কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছি।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস