ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরাইলের চালানো হামলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বাসভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম জানান, তার বাসা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তেহরানের তিন নম্বর জেলার জর্ডান এলাকায় অবস্থিত ওই বাসভবনটি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের কাছাকাছি, যেটি হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল।
ওয়ালিদ ইসলাম বলেন, “আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আশপাশে আর কিছুই নেই, কেবল কিছু কূটনীতিকদের বাড়ি টিকে রয়েছে।”
হামলার আগে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়, ফলে প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে কম হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু স্থাপনা।
তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানান ওয়ালিদ। তিনি বলেন, “অনেকেই ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছেন, বলছেন ‘ভাই, আমাদের বাঁচান’। এমনকি বন্দর আব্বাস থেকেও অনেকে ফোন করছেন।”
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে প্রায় ২০ জন রোগী তেহরানে গেছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করাতে যান। সংঘাত শুরুর পর তাদের হাসপাতাল এলাকায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেখানেও হামলা হয়েছে বলে জানান ওয়ালিদ।
তিনি আরও জানান, দূতাবাসের ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভারামিনে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি এলাকায় নিরাপদভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ইরানে বর্তমানে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির সুযোগ পেলে সকলকে দ্রুত ইরানের বাইরে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের হিসেবে ইরানে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন। তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি এখন পর্যন্ত নিরাপদ আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য তেহরানে এবং ঢাকায় হটলাইন চালু করা হয়েছে।