ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক দেব ঢাকার কচুক্ষেতে ডিজিএফআই এবং উত্তরা ও আগারগাঁওয়ে র্যাবের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। তিনি ফেসবুকে আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি একটি ইলেকট্রিক চেয়ারের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, এই চেয়ারটি আগারগাঁওয়ের আয়নাঘরে রাখা ছিল এবং এটি ‘হাই ভ্যালু’ বন্দিদের ইলেকট্রিক শক দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেররিজিম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এই আয়নাঘরের দায়িত্বে ছিল এবং সারাক্ষণ একজস্ট ফ্যান চলত এই ঘরগুলিতে। ফ্যান বন্ধ হলেই কান্না ও গোঙানির শব্দ শোনা যেত।
অর্ক দেব মাইকেল চাকমার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, মাইকেল চাকমা প্রায় দুই বছর ধরে ১১৩ নম্বর সেলে বন্দি ছিলেন। এই সেলটি বাথরুমের পাশে অবস্থিত এবং সেখানে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরা চালু থাকত। তিনি আরও বলেন, ১১৭ নম্বর রুমে তিনি দেড় বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন এবং ১০৪ নম্বর রুমে প্রায় এক বছর বন্দি ছিলেন। ১০৪ নম্বর রুমের পরে ১০৫ নম্বর সেল, টয়লেট, বাথরুম এবং চুল কাটার সেল (১০৬ নম্বর) রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগ শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি গুম কমিশনকে আয়নাঘর আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার এই আইয়ামে জাহিলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বত্র।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা আয়নাঘরও খুঁজে বের করা হবে।