ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত কারাগারে নববর্ষ, তবু হাস্যোজ্জ্বল শাজাহান খান বললেন: ‘বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি’ দেশ-বিদেশে এস আলম গ্রুপের আরও জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান গাইবান্ধায় পরিত্যক্ত কুপে মিলল অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের অর্ধগলিত লাশ নেত্রকোনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানি গ্রেফতার নোয়াখালীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ জারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির আবেদন শুরু সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন: পাঁচটিতে বাদ পড়েছে নজরুল ইসলাম বাবুর নাম ‘প্রো-বাংলাদেশ’ নীতিই অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার: প্রেস সচিব

চা পান করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন?

জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে চা অনেকের প্রথম পছন্দ। দিনের শুরু থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফা চা পান করেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রায় সময় চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, সিঙ্গাড়া, চপ, পাকোড়া ইত্যাদি খেয়ে থাকেন চা প্রেমীরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চায়ের সঙ্গে এসব খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা চায়ের সঙ্গে কিছু স্ন্যাকস খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছেন।

টক জাতীয় খাবারঃ দুধ চা বা লিকার চায়ের বদলে অনেকের পছন্দ লেবু চা। তবে চায়ের মধ্যে লেবুর রস মেশানোর ফলে শরীরের পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। লেবু চা খাওয়ার পর অনেকেই মুখে টক টক স্বাদ অনুভব করেন, যা সাধারণত অ্যাসিডিটির লক্ষণ। আবার দুধ চায়ের সঙ্গে পাপড়ি চাট, দইবড়া, ভেলপুরি বা ফুচকার মতো চাট জাতীয় খাবার খেলেও একই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যাসিডিটি এড়াতে চায়ের সঙ্গে টক জাতীয় খাবার এড়ানো উচিত।

মসলাদার খাবারঃ চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিছু মসলার নিজস্ব সুঘ্রাণ থাকে, যা চায়ের স্বাদ নষ্ট করে দিতে পারে। রসুন, পেঁয়াজ, গরম সস, তরকারি বা মরিচের মতো মসলাযুক্ত খাবার চায়ের সঙ্গে খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, মসলার তীব্র ঘ্রাণ চায়ের সৌরভ উপভোগে বাধা সৃষ্টি করে।

ভাজাভুজিঃ স্ন্যাকস হিসেবে অনেকেই ভাজা খাবার পছন্দ করেন। চায়ের সঙ্গে চপ, শিঙাড়া বা কাটলেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবার পেটের গোলমাল ও বদহজমের কারণ হতে পারে। লিকার চা বা ভেষজ চা হজম করা সহজ হলেও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

চায়ের সঙ্গে কেক, বিস্কুটের মতো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলে অনেকেই চলতে পারেন না। তবে এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে বদহজমও হতে পারে।

সাধারণত চায়ের সঙ্গে হালকা ও স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া যেতে পারে। ফাইবার বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্যাফেইন শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে চায়ের প্রশান্তি নেওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানো ঠিক নয়।

জনপ্রিয়

আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত

চা পান করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন?

প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে চা অনেকের প্রথম পছন্দ। দিনের শুরু থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফা চা পান করেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রায় সময় চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, সিঙ্গাড়া, চপ, পাকোড়া ইত্যাদি খেয়ে থাকেন চা প্রেমীরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চায়ের সঙ্গে এসব খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা চায়ের সঙ্গে কিছু স্ন্যাকস খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছেন।

টক জাতীয় খাবারঃ দুধ চা বা লিকার চায়ের বদলে অনেকের পছন্দ লেবু চা। তবে চায়ের মধ্যে লেবুর রস মেশানোর ফলে শরীরের পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। লেবু চা খাওয়ার পর অনেকেই মুখে টক টক স্বাদ অনুভব করেন, যা সাধারণত অ্যাসিডিটির লক্ষণ। আবার দুধ চায়ের সঙ্গে পাপড়ি চাট, দইবড়া, ভেলপুরি বা ফুচকার মতো চাট জাতীয় খাবার খেলেও একই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যাসিডিটি এড়াতে চায়ের সঙ্গে টক জাতীয় খাবার এড়ানো উচিত।

মসলাদার খাবারঃ চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিছু মসলার নিজস্ব সুঘ্রাণ থাকে, যা চায়ের স্বাদ নষ্ট করে দিতে পারে। রসুন, পেঁয়াজ, গরম সস, তরকারি বা মরিচের মতো মসলাযুক্ত খাবার চায়ের সঙ্গে খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, মসলার তীব্র ঘ্রাণ চায়ের সৌরভ উপভোগে বাধা সৃষ্টি করে।

ভাজাভুজিঃ স্ন্যাকস হিসেবে অনেকেই ভাজা খাবার পছন্দ করেন। চায়ের সঙ্গে চপ, শিঙাড়া বা কাটলেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবার পেটের গোলমাল ও বদহজমের কারণ হতে পারে। লিকার চা বা ভেষজ চা হজম করা সহজ হলেও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

চায়ের সঙ্গে কেক, বিস্কুটের মতো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলে অনেকেই চলতে পারেন না। তবে এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে বদহজমও হতে পারে।

সাধারণত চায়ের সঙ্গে হালকা ও স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া যেতে পারে। ফাইবার বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্যাফেইন শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে চায়ের প্রশান্তি নেওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানো ঠিক নয়।