বাংলাদেশের সরকারি–বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪–২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য বিভিন্ন কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলেছে, এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর কোটায় উত্তীর্ণদের ভর্তি করা হবে।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪–২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে সরকারি মেডিকেল কলেজে সব কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটার স্বপক্ষে সনদ/প্রমাণক যাচাইবাছাই চলছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হল। খবর বিডিনিউজের।
এবার মেডিকেলে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটায় ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী কোটায় ৩৯টি আসন ছিল। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, কোটার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা। মুক্তিযোদ্ধা কোটার কী হবে সেটা এখন উনাদের আলোচ্য ইস্যু। কাজেই এই ইস্যুটা সলভ না হলে আমরা সেটি নিয়ে কাজ করতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে আসছে বৃহস্পতিবার আবার আলোচনা হবে। ওখান থেকে কোটার বিষয়ে একটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত আসলে আমরা ভর্তি শুরু করব।
গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪–২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫,৩৭২ জন নির্বাচিত হন, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ১৯৩ জন রয়েছেন। কম নম্বর পেয়েও ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন–এই যুক্তিতে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলেরও দাবি তোলেন। এরপর ওই ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করা হয়।