প্রায় সাত বছর পর ঢাকা ও করাচির মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুমোদন পেল পাকিস্তানের এয়ারলাইনস ‘ফ্লাই জিন্নাহ’। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, “পাকিস্তান আমাদের কাছে আবেদন করেছিল, আমরা সপ্তাহ দুয়েক আগে অনুমোদন দিয়েছি। এখন তারা স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগ দেবে এবং স্লট ও ফ্রিকোয়েন্সির জন্য আবেদন করলে আমরা সেটি অনুমোদন করব। আমাদের দিক থেকে আপাতত কাজ শেষ।”
ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে যাত্রীদের জন্য সময় ও ভাড়ার ক্ষেত্রে বড় সুবিধা আসবে। বর্তমানে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ হয়ে ট্রানজিট নিতে হয়, যার ফলে যাত্রার সময় আট থেকে ১২ ঘণ্টার মতো লাগে, কিছু ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২২ ঘণ্টাও সময় লাগে।
ট্রানজিটের কারণে ঢাকা-করাচি ফ্লাইটের টিকিটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৯ সালে যেখানে এই রুটের ভাড়া ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে গড়ে এক লাখ টাকার ওপরে পৌঁছেছে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এই খরচ অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের হাই কমিশনার আহমদ মারুফ। তিনি ‘পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে’ দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা থেকে করাচির আকাশপথের দূরত্ব প্রায় ২,৩৭০ কিলোমিটার। নতুন ফ্লাইট চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।