আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি এটি মেডিকেল কিলিং, তা জাতিকে জানাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে পাঁচ দিনব্যাপী তাফসির মাহফিলের শেষ দিনে প্রধান মুফাসসির হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত এই মাহফিলে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতি ছিল।
আজহারী বলেন, “শিরক-বিদআতের বিরুদ্ধে আজীবন ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন আল্লামা সাঈদী। কিন্তু তাকে বছরের পর বছর কারাগারে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। জেলের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার এই মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব কেঁদেছে।”
মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দান বিশ্ব নন্দিত মুফাসসির আল্লামা সাঈদীর বিজড়িত স্থান। তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষকে কুরআনের ছায়াতলে ডাকতেন। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। যদি আমরা ঐক্য ধরে রাখতে পারি, তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, গুম ও খুন দূর হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৬ বছরে বিভিন্ন সেক্টরে যে জঞ্জাল জমেছে, তা ৬ মাসে দূর করা সম্ভব নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।”
তাফসির মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আল্লামা সাঈদীর ছেলে মাওলানা শামীম সাঈদী, নগর জামায়াতের আমির মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী, মাওলানা বিএম মফিজুর রহমান, মাওলানা মুনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মাহফিলের শেষ পর্বে মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবিরী আল মাদানী আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন।