ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

ইসরায়েলি হামলায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী নিহত

এক বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এরই মধ্যে উপত্যকায় হামলায় নিগতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। তবে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুধু হত্যাই নয়, অনেককে ধরে নিয়ে গেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। তাদের কারাগারে আটকে রেখে করা হচ্ছে নির্যাতন।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি ছাত্র নিহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তারা মারা গেছেন। দাপ্তরিক সংখ্যাটি ১২ হাজার ৭৯৯ জন। তবে অনেক মরদেহ উদ্ধার সম্ভব না হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। নিহত ছাড়াও অন্তত ২০ হাজার ৯৪২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বেশিরভাগ হতাহতের সংখ্যা গাজায়। তবে পশ্চিম তীরেও অনেকে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৫৯৮ শিক্ষক ও স্কুল প্রশাসক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০১ জন।

পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৫৩৮ ছাত্র এবং ১৫৮ শিক্ষক ও প্রশাসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বিষয়ে গাজার পরিসংখ্যান অস্পষ্ট। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের ভবিষ্যৎও অজানা। আরও বলা হয়েছে, ৪২৫টি সরকারি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের ভবন বোমা হামলা করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীও প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। সর্বশেষ দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোম্পানি কমান্ডার। মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় এক যুদ্ধে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। এদের একজন রিজার্ভ ফোর্সের মেজর মোশিকো ম্যাক্সিম রোজেনওয়াল্ড (৩৫)। তিনি নাহাল ব্রিগেডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নে কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপরজন সৈনিক। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

অন্যদিকে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুতি। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে এই হামলা চালিয়েছে তারা। তবে ইসরায়েলের দাবি, ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই আটকে দিয়েছে তারা।

হুতি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, ‘প্যালেস্টাইন ২” নামে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সোমবারের এই হামলাটি পরিচালিত হয়েছিল।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে এই আক্রমণটি চালানো হয়েছে, যেখানে ইসরায়েল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে এবং ৪৫ হাজারেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে।

 

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

ইসরায়েলি হামলায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

এক বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এরই মধ্যে উপত্যকায় হামলায় নিগতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। তবে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুধু হত্যাই নয়, অনেককে ধরে নিয়ে গেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। তাদের কারাগারে আটকে রেখে করা হচ্ছে নির্যাতন।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি ছাত্র নিহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তারা মারা গেছেন। দাপ্তরিক সংখ্যাটি ১২ হাজার ৭৯৯ জন। তবে অনেক মরদেহ উদ্ধার সম্ভব না হওয়ায় প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। নিহত ছাড়াও অন্তত ২০ হাজার ৯৪২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বেশিরভাগ হতাহতের সংখ্যা গাজায়। তবে পশ্চিম তীরেও অনেকে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৫৯৮ শিক্ষক ও স্কুল প্রশাসক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০১ জন।

পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৫৩৮ ছাত্র এবং ১৫৮ শিক্ষক ও প্রশাসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বিষয়ে গাজার পরিসংখ্যান অস্পষ্ট। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের ভবিষ্যৎও অজানা। আরও বলা হয়েছে, ৪২৫টি সরকারি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের ভবন বোমা হামলা করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীও প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। সর্বশেষ দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোম্পানি কমান্ডার। মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় এক যুদ্ধে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। এদের একজন রিজার্ভ ফোর্সের মেজর মোশিকো ম্যাক্সিম রোজেনওয়াল্ড (৩৫)। তিনি নাহাল ব্রিগেডের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নে কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপরজন সৈনিক। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

অন্যদিকে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুতি। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে এই হামলা চালিয়েছে তারা। তবে ইসরায়েলের দাবি, ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই আটকে দিয়েছে তারা।

হুতি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, ‘প্যালেস্টাইন ২” নামে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সোমবারের এই হামলাটি পরিচালিত হয়েছিল।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে এই আক্রমণটি চালানো হয়েছে, যেখানে ইসরায়েল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে এবং ৪৫ হাজারেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে।