অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নিকাব না খোলায় অন্তঃস্বত্ত্বা ছাত্রীকে হেনস্তা করা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক কামাল হোসেন মজুমদার। তিনি উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব । স্থানীয় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে এক সামাজিক সালিশে ক্ষমা চান তিনি। এ সময় আরো ক্ষমা চান অভিযুক্ত আরেক শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেন।
উক্ত মজলিশে ভুক্তভোগী উম্মে আঞ্জুমানয়ারা কলেজের শিক্ষকদের ক্ষমা করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, শিক্ষকরা সম্মানিত ব্যক্তি। তারা যখন মাফ চেয়েছেন তখন আমি আর চাই না তাদের প্রতি কোনো অসহিষ্ণু আচরণ করা হোক। তিনি সারাদেশবাসী, নিজ সহপাঠী এবং ওলামায়ে কেরামের প্রতি আহ্বান করেন তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য।
এর আগে শনিবার ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী উম্মে আন্জুমানয়ারা। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পোস্টে তিনি মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব কামাল হোসেন মজুমদারকে দায়ী করেছিলেন।
তাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা করার। পাশাপাশি নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলেও দাবি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তবে এ ঘটনায় অনলাইনে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ তাকে সমর্থন করলেও অধিকাংশই এত সহজে মাফ করে দেওয়াটা নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।