কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে, কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁবু নিম্নআয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো এলাকা, যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে।
শনিবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা শহরের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। জেলায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়েছে কুয়াশা। দিনেও কুয়াশাকে ভেদ করতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। ঘন কুয়াশার কারণে জেলা সদরের মোগলবাসা নৌ-ঘাট, যাত্রাপুর নৌ-ঘাট ও চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোন যাত্রীবাহী নৌকা ও ফেরি ছাড়তে পারেনি। যার ফলে চিলমারী নৌ-বন্দরে আটকা পড়েছে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো। অন্যদিকে যাত্রীরা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ৩ ঘন্টা বিলম্বে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস আন্তনগর ট্রেনটি ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে এসে পৌঁছায়।
ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোর চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা সেতু পার হওয়ার পর প্রচন্ড কুয়াশা দেখা গেছে। ট্রেন খুব ধীর গতিতে চললছিল। সকাল ৬ টার ট্রেন ৯টায় এসে পৌঁছল।’
ট্রাকচালক আয়নাল হক বলেন, ‘গতকাল বিকালে সোনাহাট থেকে পাথর নিয়ে আসছি বন্দরে। কুয়াশার কারণে সকাল ৮টার ফেরি এখনো ছাড়তেই পারেনি।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিনদিন এমন থাকার পর ২ টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে এ জেলার উপর দিয়ে। যার ফলে সূর্যের তেমন দেখা মিলবে না।