মার্কিন নির্বাচনের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি। তাই গাজার পরিস্থিতি নিয়ে হবু ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাতার আবার বৈঠক শুরু করছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দোহায় এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দোহায় ওই সম্মেলনে আল থানি বলেছেন, হবু মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতার ব্যাপারে আমরা আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কিছু অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হতে পারে। এটি আমাদেরকে পরিস্থিতি পুনরায় গুছিয়ে নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
গাজায় ১৪ মাস ধরে চলমান যুদ্ধে পুরো অঞ্চলটিই একরকম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৪৪ হাজারের এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী হামাসকে নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্য সামনে রেখে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত কাতার ও ইসরায়েলে ভ্রমণ করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে, ২০ জানুয়ারির মধ্যে, যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল থানির সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেছেন বলে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন।