মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সেখ বশিরকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘তাওহিদী ছাত্র জনতা’র ব্যানারে প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে কয়েকজন যুবক। তবে পুলিশ তাদের সভা করতে দেয়নি।
এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটকের পর সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের নেতাদের জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটককৃত পাঁচ জনের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শিবলী নোমান, ওসামা, মবিন ও তওকীর। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। এরমধ্যে শিবলী নোমান ‘তাওহিদী ছাত্র-জনতা, চট্টগ্রামের’ আহ্বায়ক এবং অন্যরা সদস্য বলে দাবি করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক পাঁচজনের সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সমর্থক ও কর্মীরা প্রেস ক্লাব চত্বরে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে সেখান থেকে ছয় জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
“যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে তাদের সাথে হিযবুতের সম্পর্ক নেই। তারা হেফাজত ইসলামের কর্মী। হেফাজত ইসলামের নেতারাও থানায় এসে সেটা নিশ্চিত করেছেন। তাই নেতাদের জিম্মায় আটক ছয় জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ ব্যাপারে তুমুল সমালোচনা দেখা দিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। এধরণের আচরণকে তারা “ফ্যাসিবাদ ২.০”, উপদেষ্টারা আইনের ঊর্ধ্বে কি না বলে আরো নানা ধরণের সমালোচনা করছেন। অনেকেই এটা তীব্র নিন্দাজনক কাজ বলে সমালোচনা করেছেন। এমনকি এধরণের কার্যক্রমকে ফ্যাসিবাদের পুনর্জন্ম বলেও ব্যাখ্যা করছেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৮ অগাস্ট গঠিত হয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তিন মাসের মাথায় তা ২য় দফায় সম্প্রসারণ করা হলো।
প্রথম দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৬ জন এবং পরে সম্প্রসারণ করে আরও চারজন উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হন। রোববার নতুন করে ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলমকে উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত করা হয়। এ তিনজনকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা এখন ২৪ জন।