ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

অবশেষে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

অবশেষে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এই তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তবে বান্দরবানের বিষয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

 

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি এবং ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়িতে ভ্রমণের ওপর আরোপ করা সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া হবে। ওই দিন থেকেই এই দুটি জেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।”

 

তিনি আরো জানান, “বান্দরবানেও খুব সহসাই পর্যটক ভ্রমণ খুলে দেওয়া হবে। তবে কবে এটি খোলা হবে সেই বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।”

 

 

বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উম্মে কুলসুম জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পর্যটন খুলে দেওয়ার উপায় নির্ণয়ের জন্য বুধবার বিশেষ সভা আহ্বান করা হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় ওই সভায় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

 

 

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ যুগপৎভাবে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৮-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই তিনটি জেলায় ‘পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত’ করা হয়।

 

বান্দরবান হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাগজেপত্রে নিরুৎসাহিত করার কথা বলা হলেও এটি ছিল নিষেধাজ্ঞা। ফলে এই সময়ের মধ্যে কোনো পর্যটক পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ভ্রমণ করতে পারেননি। এর ফলে পর্যটন ব্যবসা মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে।

 

পর্যটক ভ্রমণের ওপর থেকে আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার রাজধানীর শাহবাগে এবং মঙ্গলবার টিএসসি এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

অবশেষে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

অবশেষে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এই তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তবে বান্দরবানের বিষয়ে সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

 

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি এবং ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়িতে ভ্রমণের ওপর আরোপ করা সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া হবে। ওই দিন থেকেই এই দুটি জেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।”

 

তিনি আরো জানান, “বান্দরবানেও খুব সহসাই পর্যটক ভ্রমণ খুলে দেওয়া হবে। তবে কবে এটি খোলা হবে সেই বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।”

 

 

বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উম্মে কুলসুম জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পর্যটন খুলে দেওয়ার উপায় নির্ণয়ের জন্য বুধবার বিশেষ সভা আহ্বান করা হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় ওই সভায় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

 

 

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ যুগপৎভাবে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৮-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই তিনটি জেলায় ‘পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত’ করা হয়।

 

বান্দরবান হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাগজেপত্রে নিরুৎসাহিত করার কথা বলা হলেও এটি ছিল নিষেধাজ্ঞা। ফলে এই সময়ের মধ্যে কোনো পর্যটক পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ভ্রমণ করতে পারেননি। এর ফলে পর্যটন ব্যবসা মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে।

 

পর্যটক ভ্রমণের ওপর থেকে আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার রাজধানীর শাহবাগে এবং মঙ্গলবার টিএসসি এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।