রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণজমায়েত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এ গণজমায়েত শুরু হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা এই গণজমায়েতে যোগ দেন।
এ সময় ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ফ্যাসিবাদের গদিতে, জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ অন্যান্য সমন্বয়করা এতে যোগ দেন।
সারজিস বলেন , “জানি না আমরা,চুপ্পু কি খেয়ে? কার কথা শোনে?মানসিক অবস্থার কোন পর্যায়ে গিয়ে এখন মুখ দিয়ে কার চক্রান্তে উচ্চারণ করছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র নাই” ।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাপ্তাহিক রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’—এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রোববার প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।
এ নিয়ে সোমবার দেশজুড়ে দিনভর নানা বিতর্ক ও সমালোচনা চলে। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির পদে তার থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।