ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
এবার পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ, পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা তুরস্কের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না পারায় নেতানিয়াহুর আজারবাইজান সফর বাতিল বরগুনার হাটে চাপিলা নামেই চলছে জাটকা বেচাকেনা ডাকাতিয়া নদীতে আবারও অবৈধ বাঁধ: রায়পুরে প্রভাবশালীদের মাছ চাষে হুমকির মুখে পরিবেশ ও কৃষি আইনের জালে অ্যাপল: আদালতের আদেশ অমান্য, মিথ্যা সাক্ষ্যের অভিযোগ আইএমএফ অতিরিক্ত শর্ত চাপালে ঋণ থেকে সরে আসবে বাংলাদেশ: আনিসুজ্জামান চৌধুরী কিডনি রোগে ভুগছেন দুই কোটি মানুষ, সংকট নিরসনে কিনছে এক হাজার ডায়ালাইসিস যন্ত্র হ্যাকড হওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ উদ্ধারে কাজ চলছে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট প্লাস্টিক দূষণ রোধে কঠোর নীতিমালার পথে সরকার

বরগুনার হাটে চাপিলা নামেই চলছে জাটকা বেচাকেনা

বরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে নিষিদ্ধ বাঁধা জাল, ভোগজাল, বেহুন্দিজাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে অবাধে ধরা হচ্ছে ইলিশের পোনা। এসব পোনা মাছ স্থানীয় হাটবাজারে ‘চাপিলা’ বলে বিক্রি হচ্ছে, আবার কিছু মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে শুঁটকি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই অনিয়মে যুক্ত রয়েছেন একশ্রেণির অসাধু জেলে, যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন শতাধিক নৌকায় প্রতিদিন ভাসা জাল ফেলে জাটকা, পোয়া, তপসি, টেংরা প্রভৃতি ছোট মাছ ধরা হচ্ছে। এসব মাছ প্রকাশ্যে হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে, যা দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের চোখের সামনেই।

রুহিতা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, “প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিনই নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরা হচ্ছে। চোখের সামনে আইন লঙ্ঘন হচ্ছে, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

অথচ মৎস্য আইন অনুযায়ী, সোয়া চার ইঞ্চির কম পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু নদীতে ব্যবহার হচ্ছে আধা ইঞ্চির কম পরিধির জাল, যা পোনা নিধনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “প্রশাসনের নাকের ডগায় পোনা নিধন চলছে। এভাবে চললে ভবিষ্যতে নদীতে পানি থাকবে, কিন্তু মাছ থাকবে না।”

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন জানিয়েছেন, “গত মাস থেকে আমরা ৫০টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে জনবল স্বল্পতার কারণে সব এলাকায় একযোগে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে।”

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত অভিযান না চালালে এবং নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদের পাশাপাশি জেলেদের সচেতন না করলে ইলিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আরও গভীর হবে। দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের অস্তিত্ব রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা ও সমন্বিত উদ্যোগ।

জনপ্রিয়

এবার পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ, পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা

বরগুনার হাটে চাপিলা নামেই চলছে জাটকা বেচাকেনা

প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে

বরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে নিষিদ্ধ বাঁধা জাল, ভোগজাল, বেহুন্দিজাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে অবাধে ধরা হচ্ছে ইলিশের পোনা। এসব পোনা মাছ স্থানীয় হাটবাজারে ‘চাপিলা’ বলে বিক্রি হচ্ছে, আবার কিছু মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে শুঁটকি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই অনিয়মে যুক্ত রয়েছেন একশ্রেণির অসাধু জেলে, যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন শতাধিক নৌকায় প্রতিদিন ভাসা জাল ফেলে জাটকা, পোয়া, তপসি, টেংরা প্রভৃতি ছোট মাছ ধরা হচ্ছে। এসব মাছ প্রকাশ্যে হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে, যা দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের চোখের সামনেই।

রুহিতা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, “প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিদিনই নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরা হচ্ছে। চোখের সামনে আইন লঙ্ঘন হচ্ছে, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

অথচ মৎস্য আইন অনুযায়ী, সোয়া চার ইঞ্চির কম পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু নদীতে ব্যবহার হচ্ছে আধা ইঞ্চির কম পরিধির জাল, যা পোনা নিধনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “প্রশাসনের নাকের ডগায় পোনা নিধন চলছে। এভাবে চললে ভবিষ্যতে নদীতে পানি থাকবে, কিন্তু মাছ থাকবে না।”

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন জানিয়েছেন, “গত মাস থেকে আমরা ৫০টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে জনবল স্বল্পতার কারণে সব এলাকায় একযোগে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে।”

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত অভিযান না চালালে এবং নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদের পাশাপাশি জেলেদের সচেতন না করলে ইলিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আরও গভীর হবে। দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের অস্তিত্ব রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা ও সমন্বিত উদ্যোগ।