ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে গাজীপুরে সুতা তৈরির কারখানাসহ ঝুটের গোডাউন পুড়ে ছাই

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে একটি ঝুট গোডাউনে শনিবার দুপুরের দিকে আগুন লাগে। বয়জার লিমিটেড নামক সুতা তৈরির কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে তা আশপাশের ১২টি ঝুটের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার কোনাবাড়ীর মেট্রো থানার দেহলাবাড়ি বেলতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটে ঘটনাস্থলে যায়। পরে গাজীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।

এলাকা ঘনবসতি হওয়ায় সুতা তৈরির কারখানা ও জুটের গোডাউনের আশপাশে শত শত বাসাবাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাসার মালামাল সরিয়ে নিয়ে যায় বাসিন্দারা। আগুনের কালো ধোয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়।

তবে একটার দিকে দমকা হওয়া বয়ে যাওয়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। দেড়টার দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর আগুনের তীব্রতা কমতে থাকে। এসময় আগুন নেভানোর জন্য স্থানীয়রাও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দেন।

এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানায়, বয়জার লিমিটেড নামক একটি সুতা তৈরির কারখানাসহ ঝুটের গোডাউনের মালিক আসাদুল ইসলাম, রুস্তম আলী, তানভীর হাসান, ইসমাইল হোসেনেরসহ ১২টি গোডাউনে রাখা ঝুট, সুতা ও মালামাল পুড়ে যায়।

স্থানীয় আসাদুজ্জামান ও রুস্তম হোসেন বলেন, প্রত্যেক ঝুটের গোডাউনে কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। এখন আমাদের আর কিছুই নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে ব্যবসা শুরু করেছিলাম।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১১টার দিকে বয়জার লিমিটেড নামক একটি সুতা তৈরির কারখানা থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ শুরু করেন। পরে গাজীপুর থেকে আরো তিন ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। দুপুর দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।

জনপ্রিয়

তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে গাজীপুরে সুতা তৈরির কারখানাসহ ঝুটের গোডাউন পুড়ে ছাই

প্রকাশিত: ১৩ ঘন্টা আগে

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে একটি ঝুট গোডাউনে শনিবার দুপুরের দিকে আগুন লাগে। বয়জার লিমিটেড নামক সুতা তৈরির কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে তা আশপাশের ১২টি ঝুটের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার কোনাবাড়ীর মেট্রো থানার দেহলাবাড়ি বেলতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটে ঘটনাস্থলে যায়। পরে গাজীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।

এলাকা ঘনবসতি হওয়ায় সুতা তৈরির কারখানা ও জুটের গোডাউনের আশপাশে শত শত বাসাবাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাসার মালামাল সরিয়ে নিয়ে যায় বাসিন্দারা। আগুনের কালো ধোয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়।

তবে একটার দিকে দমকা হওয়া বয়ে যাওয়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। দেড়টার দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর আগুনের তীব্রতা কমতে থাকে। এসময় আগুন নেভানোর জন্য স্থানীয়রাও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দেন।

এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানায়, বয়জার লিমিটেড নামক একটি সুতা তৈরির কারখানাসহ ঝুটের গোডাউনের মালিক আসাদুল ইসলাম, রুস্তম আলী, তানভীর হাসান, ইসমাইল হোসেনেরসহ ১২টি গোডাউনে রাখা ঝুট, সুতা ও মালামাল পুড়ে যায়।

স্থানীয় আসাদুজ্জামান ও রুস্তম হোসেন বলেন, প্রত্যেক ঝুটের গোডাউনে কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। এখন আমাদের আর কিছুই নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে ব্যবসা শুরু করেছিলাম।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১১টার দিকে বয়জার লিমিটেড নামক একটি সুতা তৈরির কারখানা থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ শুরু করেন। পরে গাজীপুর থেকে আরো তিন ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। দুপুর দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।