ঢাকা , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশসহ ৮ দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ঘাটতিতে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি

বাংলাদেশসহ আটটি দেশে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকরা এসব দেশে রোগ ও চিকিৎসার মধ্যে একটি বড় ব্যবধান খুঁজে পেয়েছেন।

 

দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেসে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মিশর, ভারত, কেনিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১৫ লাখ কার্বাপেনেম-প্রতিরোধী গ্রাম-নেগেটিভ (সিআরজিএন) ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। অথচ সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪ হাজার কোর্স, যার ফলে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 

গবেষণা অনুযায়ী, সিআরজিএন সংক্রমণ মূলত নিউমোনিয়া, রক্তে সংক্রমণ ও জটিল মূত্রনালী সংক্রমণের মাধ্যমে দেখা যায় এবং এগুলোর হার ক্রমেই বাড়ছে। সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক না পেলে সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।

 

গবেষকরা সতর্ক করেছেন, দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

 

গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের গ্লোবাল অ্যাকসেস ডিরেক্টর ড. জেনিফার কোহন বলেছেন, দরিদ্র অঞ্চলে অনেক রোগী মারাত্মক সংক্রমণের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক পাচ্ছেন না, যা বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে অবহেলিত একটি দিক।

জনপ্রিয়

বাংলাদেশসহ ৮ দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ঘাটতিতে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি

প্রকাশিত: ১২ ঘন্টা আগে

বাংলাদেশসহ আটটি দেশে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকরা এসব দেশে রোগ ও চিকিৎসার মধ্যে একটি বড় ব্যবধান খুঁজে পেয়েছেন।

 

দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেসে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মিশর, ভারত, কেনিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১৫ লাখ কার্বাপেনেম-প্রতিরোধী গ্রাম-নেগেটিভ (সিআরজিএন) ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। অথচ সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪ হাজার কোর্স, যার ফলে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 

গবেষণা অনুযায়ী, সিআরজিএন সংক্রমণ মূলত নিউমোনিয়া, রক্তে সংক্রমণ ও জটিল মূত্রনালী সংক্রমণের মাধ্যমে দেখা যায় এবং এগুলোর হার ক্রমেই বাড়ছে। সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক না পেলে সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।

 

গবেষকরা সতর্ক করেছেন, দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

 

গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের গ্লোবাল অ্যাকসেস ডিরেক্টর ড. জেনিফার কোহন বলেছেন, দরিদ্র অঞ্চলে অনেক রোগী মারাত্মক সংক্রমণের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক পাচ্ছেন না, যা বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে অবহেলিত একটি দিক।