ঢাকা , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের উদ্যোগ

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম জোরদারে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। নতুন ট্রাইব্যুনালটি পুরোনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের এক সংস্কারাধীন ভবনে পরিচালিত হবে।

 

বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। সরকার মনে করছে, গ্রহণযোগ্য মামলার সংখ্যা বাড়ছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন।

 

ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান ও সদস্য বিচারপতিরা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে একজন চেয়ারম্যান এবং দুই থেকে চারজন সদস্য বিচারপতি থাকেন।

 

২০১০ সালে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ এবং ২০১২ সালে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে মোট ৫৫টি মামলার রায় হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন শীর্ষ পর্যায়ের আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যাঁদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর নেতা।

 

২০১৫ সালে ট্রাইব্যুনাল-২ অকার্যকর হয়ে গেলেও ট্রাইব্যুনাল-১ চালু ছিল। ২০২3 সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ট্রাইব্যুনাল-১ পুনর্গঠন হয়। বর্তমানে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান।

 

নতুন ট্রাইব্যুনালের ভবন সংস্কার প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আগের মতোই অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে।

 

বর্তমানে প্রসিকিউশনে ১৭ জন এবং তদন্ত সংস্থায় ২৬ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৩৯টি অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে তদন্ত শেষে ২২টি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

 

শহীদ পরিবারের সংগঠন ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

জনপ্রিয়

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১২ ঘন্টা আগে

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম জোরদারে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। নতুন ট্রাইব্যুনালটি পুরোনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের এক সংস্কারাধীন ভবনে পরিচালিত হবে।

 

বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। সরকার মনে করছে, গ্রহণযোগ্য মামলার সংখ্যা বাড়ছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন।

 

ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান ও সদস্য বিচারপতিরা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রাইব্যুনালে একজন চেয়ারম্যান এবং দুই থেকে চারজন সদস্য বিচারপতি থাকেন।

 

২০১০ সালে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ এবং ২০১২ সালে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে মোট ৫৫টি মামলার রায় হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন শীর্ষ পর্যায়ের আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যাঁদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর নেতা।

 

২০১৫ সালে ট্রাইব্যুনাল-২ অকার্যকর হয়ে গেলেও ট্রাইব্যুনাল-১ চালু ছিল। ২০২3 সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ট্রাইব্যুনাল-১ পুনর্গঠন হয়। বর্তমানে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান।

 

নতুন ট্রাইব্যুনালের ভবন সংস্কার প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আগের মতোই অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে।

 

বর্তমানে প্রসিকিউশনে ১৭ জন এবং তদন্ত সংস্থায় ২৬ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৩৯টি অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে তদন্ত শেষে ২২টি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

 

শহীদ পরিবারের সংগঠন ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।