ঢাকা , রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
পাঁচদিনের বিরতির পর চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি আসন্ন অর্থবছরে পানি-স্যানিটেশন খাতে টেকসই বাজেট বরাদ্দের আহ্বান ট্রেনের ধাক্কায় দক্ষিণখান থানার এসআই মুনসুর আলী নিহত স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি বন্ধ করল ভারত নতুন অর্থবছরে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি, কম বরাদ্দে উন্নয়নের বার্তা সুন্দরবনের বনদস্যু নির্মূলে কঠোর নির্দেশনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পারসোতে একাধিক পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা ডিএমপির রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা: আইএসপিআর

কোটা পদ্ধতিতে হিমাগারে জায়গা না পেয়ে বিপাকে মুন্সিগঞ্জের আলু চাষিরা

মুন্সিগঞ্জে কোটা পদ্ধতির কারণে হিমাগারে জায়গা পাচ্ছেন না স্থানীয় আলু চাষিরা। ফড়িয়া ও ব্যবসায়ীদের আগাম বুকিংয়ে হিমাগার ভরে যাওয়ায় নিজের বাড়ির আঙিনায় আলু সংরক্ষণ করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা, যার ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

মুন্সিগঞ্জ সদরের কৃষক শাহ আলম জানান, দুই বিঘা জমিতে ১৭০ মণ আলু ফলালেও হিমাগারে জায়গা না পেয়ে বাড়িতে সংরক্ষণ করছেন। অন্যদিকে, ফড়িয়ারা দাবি করছেন, রংপুর ও দিনাজপুরের আলু আগে তোলা হয় বলে তা হিমাগারে রাখা হয়, এবং তখন মুন্সিগঞ্জের আলুর জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না।

 

হিমাগার মালিকদের দাবি, সংরক্ষণ সক্ষমতার তুলনায় স্থানীয় উৎপাদন কম। তবে কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৫৮টি হিমাগারে সংরক্ষণ সক্ষমতা ৫ লাখ টনের বেশি হলেও উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১১ লাখ টন।

 

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার জানান, কৃষি কমলেও হিমাগারের জায়গা অপরিবর্তিত থাকায় জেলার বাইরের আলু এনে মজুত করা হয়। এ অবস্থায় কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হিমাগারে সংরক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

পাঁচদিনের বিরতির পর চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু

কোটা পদ্ধতিতে হিমাগারে জায়গা না পেয়ে বিপাকে মুন্সিগঞ্জের আলু চাষিরা

প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

মুন্সিগঞ্জে কোটা পদ্ধতির কারণে হিমাগারে জায়গা পাচ্ছেন না স্থানীয় আলু চাষিরা। ফড়িয়া ও ব্যবসায়ীদের আগাম বুকিংয়ে হিমাগার ভরে যাওয়ায় নিজের বাড়ির আঙিনায় আলু সংরক্ষণ করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা, যার ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

মুন্সিগঞ্জ সদরের কৃষক শাহ আলম জানান, দুই বিঘা জমিতে ১৭০ মণ আলু ফলালেও হিমাগারে জায়গা না পেয়ে বাড়িতে সংরক্ষণ করছেন। অন্যদিকে, ফড়িয়ারা দাবি করছেন, রংপুর ও দিনাজপুরের আলু আগে তোলা হয় বলে তা হিমাগারে রাখা হয়, এবং তখন মুন্সিগঞ্জের আলুর জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না।

 

হিমাগার মালিকদের দাবি, সংরক্ষণ সক্ষমতার তুলনায় স্থানীয় উৎপাদন কম। তবে কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৫৮টি হিমাগারে সংরক্ষণ সক্ষমতা ৫ লাখ টনের বেশি হলেও উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১১ লাখ টন।

 

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার জানান, কৃষি কমলেও হিমাগারের জায়গা অপরিবর্তিত থাকায় জেলার বাইরের আলু এনে মজুত করা হয়। এ অবস্থায় কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হিমাগারে সংরক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।