ভারতের বোম্বে থেকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে রাখার পর ১১ বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানে শিলিগুড়ি নিয়ে যায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পঞ্চগড়ের বোদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (১৭ মে) বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানান ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডানাকাটা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
আটকরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, ফরিদপুর, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকার নারী, শিশু ও পুরুষ।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থান করে কাজ করছিলেন। ২ মে ভারতের বোম্বে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে এবং ১৭ মে পর্যন্ত হেফাজতে রেখে বিমানযোগে বাংলাদেশি মোট ১২৫ জনকে শিলিগুড়ি পৌঁছে দেয়। পরে বিএসএফ তাদের মধ্যে ১১ জনকে পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে বিজিবি সদস্যরা তাদের অবস্থান জানতে পেরে আটক করেন।
নীলফামারী-৫৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রিয়াদ মুর্শেদ ও বোদা থানার ওসি আজিম উদ্দীন সময় সংবাদকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বিজিবি এজাহার দায়ের করলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান থানা কর্মকর্তা।