সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে আবার গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর ফলে অনেকেই নির্বাসনের ঝুঁকিতে পড়েছেন এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এসব ঘটনা ঘটেছে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৬০টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে এক হাজার ৪০০ জন শিক্ষার্থী— যার মধ্যে হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, মিশিগান ও ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে এই ধরনের সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে ভিসা বাতিল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন।
তবে এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তাদের বৈধ অবস্থান বাতিল করেছে এবং তার পেছনে উপযুক্ত কারণও দেখায়নি। অনেক ক্ষেত্রেই, ট্রাফিক লঙ্ঘনের মতো সামান্য কারণে কিংবা কোনো পূর্ব-নোটিশ ছাড়াই তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
ভিসা বাতিল হওয়া এবং গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীর অনেকেই ২০২৪ সালে আমেরিকাজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে যোগ দেন। বাকিরা ফিলিস্তিনের পক্ষে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছেন, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।