ঢাকা , রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

ভারতে গুড়িয়ে দেওয়া হলো ৫০ বছরের পুরনো মসজিদ

ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্য চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রশাসন। একের পর এক মাদরাসা-মসজিদ আর মুসলমানদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশটির হরিয়ানার ফরিদাবাদে এবার আল আকসা নামের ৫০ বছরের পুরনো মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে মুসলিম মিরর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টে তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক পুলিশ সমাগম ঘটিয়ে হরিয়ানার ফরিদাবাদে আল আকসা নামের ৫০ বছরের পুরনো মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী নগর কর্তৃপক্ষ। এসময় পুলিশের ৩জন এসিস্ট্যান্ট কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।

মুশতাক নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পরিকল্পিত ভাবেই নগর কর্তৃপক্ষ এই পুরনো মসজিদটি গুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ মসজিদ নিয়ে চলমান তদন্তের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত ফয়সালা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

তিনি বলেন, আগাম নোটিশ প্রেরণ তো দূরের কথা মসজিদ ভাঙ্গার পূর্বে স্থানীয়দের কোনো ধরণের আলোচনার কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগই দেওয়া হয়নি।

এই মসজিদটি সরকারী বা অন্যের জমি দখল করে গড়ে না উঠার পক্ষে মুশতাক নামের ওই বাসিন্দা আরো বলেন, বাদখাল গ্রামের সারপাঞ্চ বা প্রধান পাঁচ দশক পূর্বে মসজিদ নির্মাণের জন্য জায়গাটি দান বা ওয়াকফ করেছিলেন। তার দেওয়া জমিতেই আল আকসা নামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি ৬০০-৭০০ বর্গগজ জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। শুরু লগ্ন থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে বছরের পর বছর ধরে মসজিদটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোর সেবা করে আসছিলো।

মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয় ২৫ বছর পূর্বে। কিন্তু জমি বৈধ হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত ছিলো না। সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী নগর কর্তৃপক্ষ এটিকে অবৈধ বলা শুরু করে। তারা দাবী করতে থাকে দখলকৃত জমিতে এটি গড়ে তুলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তবে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়েছে বলে দাবি করেছে ফরিদাবাদ নগর কর্তৃপক্ষ বা সিটি কর্পোরেশন।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

ভারতে গুড়িয়ে দেওয়া হলো ৫০ বছরের পুরনো মসজিদ

প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্য চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রশাসন। একের পর এক মাদরাসা-মসজিদ আর মুসলমানদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশটির হরিয়ানার ফরিদাবাদে এবার আল আকসা নামের ৫০ বছরের পুরনো মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে মুসলিম মিরর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টে তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক পুলিশ সমাগম ঘটিয়ে হরিয়ানার ফরিদাবাদে আল আকসা নামের ৫০ বছরের পুরনো মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী নগর কর্তৃপক্ষ। এসময় পুলিশের ৩জন এসিস্ট্যান্ট কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।

মুশতাক নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পরিকল্পিত ভাবেই নগর কর্তৃপক্ষ এই পুরনো মসজিদটি গুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ মসজিদ নিয়ে চলমান তদন্তের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত ফয়সালা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

তিনি বলেন, আগাম নোটিশ প্রেরণ তো দূরের কথা মসজিদ ভাঙ্গার পূর্বে স্থানীয়দের কোনো ধরণের আলোচনার কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগই দেওয়া হয়নি।

এই মসজিদটি সরকারী বা অন্যের জমি দখল করে গড়ে না উঠার পক্ষে মুশতাক নামের ওই বাসিন্দা আরো বলেন, বাদখাল গ্রামের সারপাঞ্চ বা প্রধান পাঁচ দশক পূর্বে মসজিদ নির্মাণের জন্য জায়গাটি দান বা ওয়াকফ করেছিলেন। তার দেওয়া জমিতেই আল আকসা নামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি ৬০০-৭০০ বর্গগজ জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। শুরু লগ্ন থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে বছরের পর বছর ধরে মসজিদটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোর সেবা করে আসছিলো।

মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয় ২৫ বছর পূর্বে। কিন্তু জমি বৈধ হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত ছিলো না। সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী নগর কর্তৃপক্ষ এটিকে অবৈধ বলা শুরু করে। তারা দাবী করতে থাকে দখলকৃত জমিতে এটি গড়ে তুলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তবে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়েছে বলে দাবি করেছে ফরিদাবাদ নগর কর্তৃপক্ষ বা সিটি কর্পোরেশন।