ঢাকা , রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

গাজা দখলের ঘৃণ্য পরিকল্পনা নিশ্চিত করলো দখলদার ইসরায়েল

দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও গাজার তথাকথিত বিভিন্ন নিরাপত্তা অঞ্চলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ। ১৬ এপ্রিল, বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছে, যুদ্ধ বন্ধে শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হলেও তাদের বাহিনী গাজায় নিজেদের বানানো বাফার জোন ছাড়বে না। লেবানন ও সিরিয়াতেও নতুন করে তৈরি করা বাফার জোনে দেশটির সেনার অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে। বুধবার ইসরায়েল কার্তজ এসব কথা জানিয়েছ।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গত মাসে গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে। তারা ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নামে গাজার ভেতরে ঢুকে বিস্তৃত এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। সেইসঙ্গে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে ভূখণ্ডটির দক্ষিণ ও উপকূলরেখা বরাবর ক্রমেই ছোট হয়ে আসা এলাকাগুলোতে ঠেসে দিচ্ছে।

বুধবার কার্তজ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছে, অতীতের মতো হবে না, যেসব এলাকা সন্ত্রাসীমুক্ত ও জব্দ করা হয়েছে আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) সেখান থেকে সরবে না।

সে আরও বলেছে, লেবানন ও সিরিয়ার মতোই, গাজার স্থায়ী বা অস্থায়ী যেকোনো পরিস্থিতিতে আইডিএফ শত্রু ও (ইসরায়েলি) বসতিগুলোর মাঝে বাফার হিসেবে থাকবে।

আল জাজিরার সাংবাদিক বলছেন, ইসরায়েলি মন্ত্রী এই মন্তব্যের মাধ্যমে গাজা দখলের পরিকল্পনা নিশ্চিত করল। সে আরও নিশ্চিত করেছেন যে ‘দখল’ ইসরায়েলের সামরিক কৌশলের অংশ। এবং এই দখল লেবানন ও সিরিয়াতেও হবে।

ইসরায়েলের ‘দ্য হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ কার্তজের পরিকল্পনাকে ‘উদ্ভট কল্পনা’ বলে মন্তব্য করেছে। গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের আত্মীয়-স্বজনদের এই সংগঠন বলেছে, ‘তারা [সরকার] প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সবকিছুর আগে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেয়ে ভূখণ্ড দখলের দিকে বেশি মনোযোগী।’

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

গাজা দখলের ঘৃণ্য পরিকল্পনা নিশ্চিত করলো দখলদার ইসরায়েল

প্রকাশিত: ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও গাজার তথাকথিত বিভিন্ন নিরাপত্তা অঞ্চলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ। ১৬ এপ্রিল, বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছে, যুদ্ধ বন্ধে শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হলেও তাদের বাহিনী গাজায় নিজেদের বানানো বাফার জোন ছাড়বে না। লেবানন ও সিরিয়াতেও নতুন করে তৈরি করা বাফার জোনে দেশটির সেনার অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে। বুধবার ইসরায়েল কার্তজ এসব কথা জানিয়েছ।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গত মাসে গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে। তারা ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নামে গাজার ভেতরে ঢুকে বিস্তৃত এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। সেইসঙ্গে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে ভূখণ্ডটির দক্ষিণ ও উপকূলরেখা বরাবর ক্রমেই ছোট হয়ে আসা এলাকাগুলোতে ঠেসে দিচ্ছে।

বুধবার কার্তজ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছে, অতীতের মতো হবে না, যেসব এলাকা সন্ত্রাসীমুক্ত ও জব্দ করা হয়েছে আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) সেখান থেকে সরবে না।

সে আরও বলেছে, লেবানন ও সিরিয়ার মতোই, গাজার স্থায়ী বা অস্থায়ী যেকোনো পরিস্থিতিতে আইডিএফ শত্রু ও (ইসরায়েলি) বসতিগুলোর মাঝে বাফার হিসেবে থাকবে।

আল জাজিরার সাংবাদিক বলছেন, ইসরায়েলি মন্ত্রী এই মন্তব্যের মাধ্যমে গাজা দখলের পরিকল্পনা নিশ্চিত করল। সে আরও নিশ্চিত করেছেন যে ‘দখল’ ইসরায়েলের সামরিক কৌশলের অংশ। এবং এই দখল লেবানন ও সিরিয়াতেও হবে।

ইসরায়েলের ‘দ্য হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ কার্তজের পরিকল্পনাকে ‘উদ্ভট কল্পনা’ বলে মন্তব্য করেছে। গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের আত্মীয়-স্বজনদের এই সংগঠন বলেছে, ‘তারা [সরকার] প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সবকিছুর আগে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেয়ে ভূখণ্ড দখলের দিকে বেশি মনোযোগী।’