ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় নতুন করে ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বা ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দিনে দিনে নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। বেসামরিকদের লক্ষ্য করে প্রতিনিয়তই বাড়ছে হত্যাযজ্ঞ। গাজার বাড়িঘর থেকে শুরু করে শরণার্থী শিবির সবত্রই চলছে নারকীয় তাণ্ডব।
জাতিসংঘ বলছে, দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা সামরিক আগ্রাসনের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। গত ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দেয় সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ গাজাবাসী নতুন করে ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে ছয় সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো মানবিক সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল। এটা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ অবরোধ আরোপের ঘটনা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ বলেছে, ‘মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা আমাদের চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল।’
সেই সঙ্গে গাজাবাসীর ওপর দমন–পীড়ন জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই নতুন নতুন হামলা চালানো হচ্ছে। গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকালের দিকেই ইসরায়েলি হামলায় সেখানে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের এই গণহত্যামূলক আগ্রাসনে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫১ হাজার ২৫ জনে। সংঘাতের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।