জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের জন্য নতুনভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়া আচরণবিধিতে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচারের নিয়ম, সীমাবদ্ধতা ও শাস্তির বিধান যুক্ত হচ্ছে।
নতুন আচরণবিধির মূল বিষয়গুলো হচ্ছে —
-নির্বাচনী প্রচার চালাতে চাইলে প্রার্থী বা এজেন্টকে ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট, ইমেইল ও শনাক্তকরণ তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
-ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে সকল ডিজিটাল/অনলাইন প্রচার বন্ধ করতে হবে।
-অনলাইনে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন, উসকানিমূলক বক্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত—এসব নিষিদ্ধ।
-বুস্টিং, বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ–সব খরচ নির্বাচনী ব্যয়ের অংশ হিসেবে দেখাতে হবে।
-বিদেশি অর্থায়নে ডিজিটাল প্রচার নিষিদ্ধ।
-আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে জেল, জরিমানা ও সাইবার সুরক্ষা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমানে প্রার্থীরা প্রচুর ডিজিটাল প্রচারণা চালালেও তা কোনো নির্দিষ্ট নিয়মে পরিচালিত হয় না, আর নির্বাচনী খরচ হিসাবেও তা দেখানো হয় না। ২০০৮ সালের আচরণবিধিতে ডিজিটাল মাধ্যমের উল্লেখ না থাকায় বর্তমান বাস্তবতায় এই সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সুপারিশেও এই পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, এই খসড়া প্রায় চূড়ান্ত, এবং শিগগিরই কমিশন সভায় তা উপস্থাপন করা হবে।