যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সংস্থা ও একজন ব্যক্তির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব ঘোষণার মাত্র দুই দিন পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা (AEOI) ও এর অধীনস্থ সেন্ট্রিফিউজ টেকনোলজি কোম্পানি। সংস্থাটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হলেন মাজিদ মোসাল্লাত, যিনি আটবিন ইস্তা টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, তিনি বিদেশি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে উপাদান সংগ্রহে কোম্পানিকে সহায়তা করতেন।
এর আগে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনায় বসতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে জানান, সরাসরি নয়, বরং ওমানে পরোক্ষ আলোচনা হতে পারে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে ইরান বড় বিপদের মধ্যে পড়বে।”
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।