ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত কারাগারে নববর্ষ, তবু হাস্যোজ্জ্বল শাজাহান খান বললেন: ‘বাইরের চেয়ে ভিতরেই ভালো আছি’ দেশ-বিদেশে এস আলম গ্রুপের আরও জমি ও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান গাইবান্ধায় পরিত্যক্ত কুপে মিলল অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের অর্ধগলিত লাশ নেত্রকোনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানি গ্রেফতার নোয়াখালীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ জারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির আবেদন শুরু সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন: পাঁচটিতে বাদ পড়েছে নজরুল ইসলাম বাবুর নাম ‘প্রো-বাংলাদেশ’ নীতিই অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার: প্রেস সচিব

ট্রলারসহ ১১ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১১ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মৌলভীরশীল এলাকায় বাংলাদেশ জলসীমা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অপহরণের শিকার জেলেদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।

ইউএনও বলেন, ‌‘মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।’

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘সকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে এসে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলো ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে একটি ট্রলারের মালিক আমি নিজেই। অপরটির মালিক মোহাম্মদ শাওন নামের আরেক ব্যক্তি। দুটি ট্রলারে ১১ জন জেলে আছেন।’

আবুল কালাম আরও বলেন, ‘কিছুদিন পরপর আরাকান আর্মি এ ধরনের ঘটনা ঘটনাচ্ছে। ট্রলারমালিক, মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা চাই আমরা।’

এই দুটি ছাড়াও আরও দুটি ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছেন বলেও জানান আবুল কালাম। তবে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘সাগর থেকে আবারও মাছ ধরার ট্রলার চারটি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। মাছ ধরতে যাওয়া আমার এলাকার বেশ কয়েকটি ট্রলারকে ধাওয়া করেছিল আরাকান আর্মি। ট্রলারগুলো ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

জানতে চাইলে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লে. কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, ‘টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটের দুটি ট্রলারের ১১ জন জেলেসহ দুটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এর বাইরে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারের নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এর আগে গত ৫ মার্চ সেন্টমার্টিন উপকূলে মাছ ধরার সময় ছয়টি ট্রলারসহ প্রায় ৫৬ জেলেকে ধরে নিয়ে যান মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরদিন তাদের ছেড়ে দিলেও ট্রলারের মাছ, তেল, জাল ও খাদ্যসামগ্রী সে দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা লুট করে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফিরে আসা জেলেরা।

জনপ্রিয়

আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত

ট্রলারসহ ১১ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

প্রকাশিত: ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১১ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মৌলভীরশীল এলাকায় বাংলাদেশ জলসীমা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অপহরণের শিকার জেলেদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।

ইউএনও বলেন, ‌‘মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।’

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘সকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে এসে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলো ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে একটি ট্রলারের মালিক আমি নিজেই। অপরটির মালিক মোহাম্মদ শাওন নামের আরেক ব্যক্তি। দুটি ট্রলারে ১১ জন জেলে আছেন।’

আবুল কালাম আরও বলেন, ‘কিছুদিন পরপর আরাকান আর্মি এ ধরনের ঘটনা ঘটনাচ্ছে। ট্রলারমালিক, মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা চাই আমরা।’

এই দুটি ছাড়াও আরও দুটি ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছেন বলেও জানান আবুল কালাম। তবে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘সাগর থেকে আবারও মাছ ধরার ট্রলার চারটি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। মাছ ধরতে যাওয়া আমার এলাকার বেশ কয়েকটি ট্রলারকে ধাওয়া করেছিল আরাকান আর্মি। ট্রলারগুলো ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

জানতে চাইলে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লে. কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, ‘টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটের দুটি ট্রলারের ১১ জন জেলেসহ দুটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এর বাইরে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারের নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এর আগে গত ৫ মার্চ সেন্টমার্টিন উপকূলে মাছ ধরার সময় ছয়টি ট্রলারসহ প্রায় ৫৬ জেলেকে ধরে নিয়ে যান মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরদিন তাদের ছেড়ে দিলেও ট্রলারের মাছ, তেল, জাল ও খাদ্যসামগ্রী সে দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা লুট করে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফিরে আসা জেলেরা।