ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি

চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, যদি চীন আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমেরিকার ওপর আরোপ করা পালটা শুল্ক কমিয়ে না নেয়, তবে তাদের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, এই শুল্ক আরোপ কার্যকর হলে চীনা পণ্যে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক থাকবে, যা মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলবে।

এ বিষয়ে সিএনবিসি জানায়, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে পতন দেখা দিয়েছে। এর আগে ট্রাম্প ৩৪ শতাংশ শুল্ক চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করেছিলেন, যার পালটা হিসেবে চীনও আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।

এদিকে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ একটি পোস্টে চীনের ওপর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “চীন যদি মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে এবং সব বৈঠক বাতিল করবে। এককথায়, চীন থেকে পুরোপুরি সরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।”

চীন ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছিল যে, ১০ এপ্রিল থেকে আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে, ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে অশনি সঙ্কেত তৈরি করেছে।

এছাড়া, ট্রাম্প অন্যান্য দেশকেও সতর্ক করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন, “যদি কোনো দেশ আমেরিকার শুল্ক চাপানোর পালটা শুল্ক চাপায়, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে।”

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল, চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশের ওপর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ (পালটা শুল্ক) আরোপের মাধ্যমে আমেরিকা আরও শুল্ক চাপিয়েছে, যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এমনকি, আমেরিকার ভেতরেও ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের এই উত্তেজনা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি

প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, যদি চীন আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমেরিকার ওপর আরোপ করা পালটা শুল্ক কমিয়ে না নেয়, তবে তাদের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, এই শুল্ক আরোপ কার্যকর হলে চীনা পণ্যে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক থাকবে, যা মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলবে।

এ বিষয়ে সিএনবিসি জানায়, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে পতন দেখা দিয়েছে। এর আগে ট্রাম্প ৩৪ শতাংশ শুল্ক চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করেছিলেন, যার পালটা হিসেবে চীনও আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।

এদিকে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ একটি পোস্টে চীনের ওপর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “চীন যদি মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে এবং সব বৈঠক বাতিল করবে। এককথায়, চীন থেকে পুরোপুরি সরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।”

চীন ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছিল যে, ১০ এপ্রিল থেকে আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে, ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে অশনি সঙ্কেত তৈরি করেছে।

এছাড়া, ট্রাম্প অন্যান্য দেশকেও সতর্ক করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন, “যদি কোনো দেশ আমেরিকার শুল্ক চাপানোর পালটা শুল্ক চাপায়, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে।”

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল, চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশের ওপর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ (পালটা শুল্ক) আরোপের মাধ্যমে আমেরিকা আরও শুল্ক চাপিয়েছে, যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এমনকি, আমেরিকার ভেতরেও ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের এই উত্তেজনা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।