ঢাকা , রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি

চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, যদি চীন আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমেরিকার ওপর আরোপ করা পালটা শুল্ক কমিয়ে না নেয়, তবে তাদের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, এই শুল্ক আরোপ কার্যকর হলে চীনা পণ্যে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক থাকবে, যা মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলবে।

এ বিষয়ে সিএনবিসি জানায়, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে পতন দেখা দিয়েছে। এর আগে ট্রাম্প ৩৪ শতাংশ শুল্ক চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করেছিলেন, যার পালটা হিসেবে চীনও আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।

এদিকে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ একটি পোস্টে চীনের ওপর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “চীন যদি মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে এবং সব বৈঠক বাতিল করবে। এককথায়, চীন থেকে পুরোপুরি সরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।”

চীন ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছিল যে, ১০ এপ্রিল থেকে আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে, ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে অশনি সঙ্কেত তৈরি করেছে।

এছাড়া, ট্রাম্প অন্যান্য দেশকেও সতর্ক করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন, “যদি কোনো দেশ আমেরিকার শুল্ক চাপানোর পালটা শুল্ক চাপায়, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে।”

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল, চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশের ওপর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ (পালটা শুল্ক) আরোপের মাধ্যমে আমেরিকা আরও শুল্ক চাপিয়েছে, যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এমনকি, আমেরিকার ভেতরেও ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের এই উত্তেজনা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জনপ্রিয়

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি

প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, যদি চীন আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমেরিকার ওপর আরোপ করা পালটা শুল্ক কমিয়ে না নেয়, তবে তাদের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, এই শুল্ক আরোপ কার্যকর হলে চীনা পণ্যে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক থাকবে, যা মার্কিন চীন বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলবে।

এ বিষয়ে সিএনবিসি জানায়, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে পতন দেখা দিয়েছে। এর আগে ট্রাম্প ৩৪ শতাংশ শুল্ক চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করেছিলেন, যার পালটা হিসেবে চীনও আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।

এদিকে, ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “ট্রুথ সোশ্যাল”-এ একটি পোস্টে চীনের ওপর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “চীন যদি মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে এবং সব বৈঠক বাতিল করবে। এককথায়, চীন থেকে পুরোপুরি সরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।”

চীন ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছিল যে, ১০ এপ্রিল থেকে আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে, ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে অশনি সঙ্কেত তৈরি করেছে।

এছাড়া, ট্রাম্প অন্যান্য দেশকেও সতর্ক করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন, “যদি কোনো দেশ আমেরিকার শুল্ক চাপানোর পালটা শুল্ক চাপায়, তাহলে আমেরিকা তাদের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবে।”

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল, চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশের ওপর রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ (পালটা শুল্ক) আরোপের মাধ্যমে আমেরিকা আরও শুল্ক চাপিয়েছে, যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এমনকি, আমেরিকার ভেতরেও ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের এই উত্তেজনা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।