বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধিকে আকস্মিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. খলিলুর রহমান বলেন—
“শুল্ক বৃদ্ধি আকস্মিক কোনো বিষয় নয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান—
“ফেব্রুয়ারিতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ইস্যুতে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।”
বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে পর্যালোচনা করে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন,
“বাংলাদেশের রপ্তানির প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক দেশেও যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়িয়েছে, তাই এটি বাংলাদেশের জন্য একক ক্ষতির বিষয় নয়। বরং আমাদের পোশাক শিল্পের বৈচিত্র্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলতে পারে।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান,
“আমদানি বাড়িয়ে মার্কিন বাজারের চাহিদা মেটানোর মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সয়াবিন তেল, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে
জরুরি এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, পিআরআই চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার, মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এসডিজি মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
এই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখা হবে এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।