যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন শুল্ক হার নিয়ে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন,
“প্রধান উপদেষ্টা তাঁর আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন।”
শুল্ক ও বাণিজ্য বাধা নিয়ে আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান,
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।শুধু শুল্ক নয়, অশুল্ক বাণিজ্য বাধা (non-tariff barriers) নিয়েও আলোচনার প্রস্তুতি চলছে।
এসব বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন,
“শুধু শুল্ক নয়, আমদানির দিকটিও গুরুত্ব পাচ্ছে। সয়াবিন তেল, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, শিল্প যন্ত্রাংশ ও জ্বালানি আমদানির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,
“বাড়তি শুল্ক ক্ষতি নয়, বরং বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের বৈচিত্র্যতা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে পারে।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি কমবে বলে মনে করছেন না। বরং দেশের তৈরি পোশাকের গুণগত মান ও বহুমুখিতা এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে পারে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।