ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর উচিত তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা – এই দাবিতে আবার জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ব্রাসেলসে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রাক্কালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই মন্তব্য করেন।
ইউরোপের চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রুবিও বলেন, কঠিন শক্তি প্রয়োগের বাস্তবতা এখনও বিদ্যমান। তাই ন্যাটো সদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির পাঁচ শতাংশে উন্নীত করার ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশনা প্রয়োজন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই তাদের জিডিপির ৩.৩৬ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করছে।
রুবিও স্বীকার করেছেন যে, তাদেরও এই খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে রুবিও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন একটি শক্তিশালী ন্যাটো জোটের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন দেয়। তবে জোটের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই ন্যাটোর শক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ধনী দেশগুলোর জোট হিসেবে ন্যাটো সদস্যদের আরও বেশি অবদান রাখার সামর্থ্য রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
ইউক্রেনকে সহায়তায় ইউরোপের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান রাশিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ন্যাটোর জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। ইন্দো-প্যাসিফিক ও ইউরোপীয় অঞ্চল একে অপরের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।