ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল

অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে সোয়া কোটি টাকা লোপাট, তদন্তে দুদক!

কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কৈবর্তপাড়া নামের একটি অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযানে দেখা গেছে, স্কুলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে কোনো স্কুলের অস্তিত্ব নেই। রোববার (১৬ মার্চ) দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।

 ঘটনার অস্তিত্বহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ প্রদানপূর্বক রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদকের টিম কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কৈবর্তপাড়া স্কুল পরিদর্শন করে। সেখানে কৈবর্তপাড়া নামে কোনো স্কুল বা নির্মাণ কাজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ঢাকা জেলা পরিষদের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওই স্কুলটির জন্য দুইবারে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক পর্যালোচনায় উল্লেখিত কার্যক্রমে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থের আত্মসাৎ বা অপচয় হয়েছে বলে অভিযানকালে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। দুদক জেলা পরিষদ বরাবর বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়েছে। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিসাপেক্ষে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

দুদকের অপর একটি টিম কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “অ্যাসেট” প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে। এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযানকালে ‘অ্যাসেট’ প্রকল্পের ডিপিডির কাছ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

এই ঘটনায় দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদকের অভিযান ও তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে দুদকের কঠোর নজরদারি ও পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন

অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে সোয়া কোটি টাকা লোপাট, তদন্তে দুদক!

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কৈবর্তপাড়া নামের একটি অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযানে দেখা গেছে, স্কুলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে কোনো স্কুলের অস্তিত্ব নেই। রোববার (১৬ মার্চ) দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।

 ঘটনার অস্তিত্বহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ প্রদানপূর্বক রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদকের টিম কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কৈবর্তপাড়া স্কুল পরিদর্শন করে। সেখানে কৈবর্তপাড়া নামে কোনো স্কুল বা নির্মাণ কাজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ঢাকা জেলা পরিষদের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওই স্কুলটির জন্য দুইবারে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক পর্যালোচনায় উল্লেখিত কার্যক্রমে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থের আত্মসাৎ বা অপচয় হয়েছে বলে অভিযানকালে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। দুদক জেলা পরিষদ বরাবর বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়েছে। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিসাপেক্ষে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

দুদকের অপর একটি টিম কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “অ্যাসেট” প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে। এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযানকালে ‘অ্যাসেট’ প্রকল্পের ডিপিডির কাছ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

এই ঘটনায় দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদকের অভিযান ও তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে দুদকের কঠোর নজরদারি ও পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।