ঢাকা , বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ভারতকে ‘জায়গামতো’ জবাব দিতে পারি : জাতিসংঘকে পাকিস্তান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সংঘাত এড়াতে সংযমের আহ্বান চীনের ভারতের হামলায় নিহত ২৬, দাবি পাকিস্তান আইএসপিআরের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ- আপডেট : ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিধ্বস্ত ৩ যুদ্ধবিমান! নিহত ৭ আহত ৩৫ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত যশোরের চৌগাছায় আসামি ধরতে গিয়ে ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত নারায়ণগঞ্জে তিন কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, একটি কারখানাকে জরিমানা গাইবান্ধায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১৯ বস্তা চালসহ বিএনপি নেতা আটক কুসংস্কার রোধে শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেললেন মাদারীপুরের আলেমরা ৩এফ৪ডি সেচ পদ্ধতিতে চালের আর্সেনিক কমবে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত: বাকৃবির গবেষণা

রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফল করতে ড. ইউনূসের আহ্বান

 

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে বড় রকমের সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

এসময় প্রফেসর ইউনূস বলেন, আসুন আমরা এটিকে একটি বড়ভাবে সফল করি এবং সমস্যাটি সমাধান করি। আশা করি এর থেকে বাস্তব কিছু বেরিয়ে আসবে। ভবিষ্যতের দিকে একটা রাস্তা তৈরি করতে হবে। তাদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী) ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এ বছরের শেষের দিকে জাতিসংঘের আহ্বানে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে গ্র্যান্ডি বলেন, আসুন আমরা এই সমস্যাটি আলোচনায় রাখি। জাতিসংঘ সম্মেলন আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার একটি দুর্দান্ত উপায়।

তিনি বলেন, রাখাইনে বিভিন্ন গোষ্ঠীর আস্থা তৈরির জন্য এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা উচিত। মধ্য মার্চে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর এ ইস্যুতে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির নতুন দিকনির্দেশনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে বৈঠকে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় ক্যাম্পে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আরও আর্থিক সহায়তা সংগ্রহের উপায় খোঁজার ওপর জোর দেন। তারা রাখাইন রাজ্যে যেখানে একটি প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। তারা বলেন, পশ্চিম মিয়ানমার রাষ্ট্রের জনগণকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য লড়াইয়ে বিরতি প্রয়োজন। এর ফলে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে টেকসই প্রত্যাবাসনের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

আফ্রিকায় কিছু মানবিক সংকটের কথা উল্লেখ করে গ্রান্ডি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সামরিক একনায়কতন্ত্রের বৈধতার অভাব অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।

ইউএনএইচসিআর প্রধান শরণার্থী ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য সর্বজনীন শিক্ষা প্রদানে প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং শরণার্থীদের আরও টেকসই আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমর্থনে বাংলাদেশের উদ্যোগ এবং রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির বিষয়ে গ্র্যান্ডিকে অবহিত করেন।

জনপ্রিয়

ভারতকে ‘জায়গামতো’ জবাব দিতে পারি : জাতিসংঘকে পাকিস্তান

রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফল করতে ড. ইউনূসের আহ্বান

প্রকাশিত: ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে বড় রকমের সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

এসময় প্রফেসর ইউনূস বলেন, আসুন আমরা এটিকে একটি বড়ভাবে সফল করি এবং সমস্যাটি সমাধান করি। আশা করি এর থেকে বাস্তব কিছু বেরিয়ে আসবে। ভবিষ্যতের দিকে একটা রাস্তা তৈরি করতে হবে। তাদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী) ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এ বছরের শেষের দিকে জাতিসংঘের আহ্বানে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে গ্র্যান্ডি বলেন, আসুন আমরা এই সমস্যাটি আলোচনায় রাখি। জাতিসংঘ সম্মেলন আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার একটি দুর্দান্ত উপায়।

তিনি বলেন, রাখাইনে বিভিন্ন গোষ্ঠীর আস্থা তৈরির জন্য এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা উচিত। মধ্য মার্চে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর এ ইস্যুতে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির নতুন দিকনির্দেশনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে বৈঠকে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় ক্যাম্পে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আরও আর্থিক সহায়তা সংগ্রহের উপায় খোঁজার ওপর জোর দেন। তারা রাখাইন রাজ্যে যেখানে একটি প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। তারা বলেন, পশ্চিম মিয়ানমার রাষ্ট্রের জনগণকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য লড়াইয়ে বিরতি প্রয়োজন। এর ফলে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে টেকসই প্রত্যাবাসনের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

আফ্রিকায় কিছু মানবিক সংকটের কথা উল্লেখ করে গ্রান্ডি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সামরিক একনায়কতন্ত্রের বৈধতার অভাব অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।

ইউএনএইচসিআর প্রধান শরণার্থী ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য সর্বজনীন শিক্ষা প্রদানে প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং শরণার্থীদের আরও টেকসই আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমর্থনে বাংলাদেশের উদ্যোগ এবং রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির বিষয়ে গ্র্যান্ডিকে অবহিত করেন।