ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে গাইবান্ধার সাহাবুল ইসলাম বহিষ্কার আসামি গ্রেফতারে পূর্বানুমতির আদেশ চেম্বার আদালতেও স্থগিত ডিএনসিসিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি: অযথা হর্ন বাজানো গাড়ির চালক শনাক্তে উদ্যোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘ভালো মশা’: বাংলাদেশে উলবাকিয়া প্রযুক্তির সফল অগ্রগতি পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস, শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ তদন্তের মুখে বাংলাদেশ পুলিশের ৯ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৫ কর্মকর্তার বদলি সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক মানুষ প্রবেশ করানো গ্রহণযোগ্য নয়: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকু পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৫.৬৭ বিলিয়ন ডলারে ১০ মে থেকে শুরু ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সংঘাত এড়াতে সংযমের আহ্বান চীনের

দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের ঘনঘটা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান হামলা-পাল্টা হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্ভাব্য পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের শঙ্কায় চিন্তিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এবার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। তারা দুই দেশকেই সংযম বজায় রাখার এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারত পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের দাবি, এটি ছিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পাল্টা পদক্ষেপ। ওই হামলায় বহু নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারান। ভারত পাকিস্তানকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চীন, যেটি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের প্রতিবেশী, এই সংঘাতকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছে এবং অবিলম্বে উত্তেজনা কমাতে বলেছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আজ সকালে ভারতের সামরিক অভিযানের বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। ভারত ও পাকিস্তান সবসময় একে অপরের প্রতিবেশী ছিল এবং থাকবে, এবং তারা উভয়েই চীনের প্রতিবেশী। চীন সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। তবে আমরা মনে করি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে দুই দেশকেই সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শন করতে হবে।” চীন আরও জানায়, পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে দুই পক্ষেরই আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এই উত্তেজনার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তানে বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল-কলেজ। সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের এই শান্তি আহ্বান এখন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা। যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়—এই উপলব্ধি যত দ্রুত দুই দেশ অর্জন করবে, তত দ্রুত এই অঞ্চলের মানুষ শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

জনপ্রিয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সংঘাত এড়াতে সংযমের আহ্বান চীনের

প্রকাশিত: ১৫ ঘন্টা আগে

দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের ঘনঘটা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান হামলা-পাল্টা হামলা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্ভাব্য পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের শঙ্কায় চিন্তিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এবার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। তারা দুই দেশকেই সংযম বজায় রাখার এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারত পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের দাবি, এটি ছিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পাল্টা পদক্ষেপ। ওই হামলায় বহু নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারান। ভারত পাকিস্তানকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চীন, যেটি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের প্রতিবেশী, এই সংঘাতকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছে এবং অবিলম্বে উত্তেজনা কমাতে বলেছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আজ সকালে ভারতের সামরিক অভিযানের বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। ভারত ও পাকিস্তান সবসময় একে অপরের প্রতিবেশী ছিল এবং থাকবে, এবং তারা উভয়েই চীনের প্রতিবেশী। চীন সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। তবে আমরা মনে করি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে দুই দেশকেই সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শন করতে হবে।” চীন আরও জানায়, পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে দুই পক্ষেরই আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এই উত্তেজনার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তানে বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল-কলেজ। সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের এই শান্তি আহ্বান এখন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা। যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়—এই উপলব্ধি যত দ্রুত দুই দেশ অর্জন করবে, তত দ্রুত এই অঞ্চলের মানুষ শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স