ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ অপচয়ের মহোৎসব বন্ধ হচ্ছে: বেবিচক

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে অর্থ অপচয় ও লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ। তবে রাষ্ট্রের টাকা অপচয়ে জড়িতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। মূল নকশাকে উপেক্ষা করে সেখানে বিমানের আদলে একটি জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এ জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

এ ধরনের অনিয়ম শুধু একটি প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ নয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরসহ বড়-ছোট অনেক প্রকল্পেই হাজার হাজার কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের নথি এখন দুদকের হাতে।

বেবিচক বলছে, ঢাকা কাস্টম হাউজসহ আশপাশে ৭টি মসজিদ থাকায় নতুন করে আলাদা মসজিদ নির্মাণসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। এতে প্রায় তিনশো কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “অপারেশনাল দিকে যত বেশি কাজ করা যায়, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে রাজস্ব বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লুটপাটে জড়িত বেবিচক ও বিমান মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

এদিকে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উন্নয়নের নামে সাধারণ মানুষের দেয়া অর্থ কোনোভাবেই লোপাটের সুযোগ দেয়া হবে না।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ অপচয়ের মহোৎসব বন্ধ হচ্ছে: বেবিচক

প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে অর্থ অপচয় ও লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ। তবে রাষ্ট্রের টাকা অপচয়ে জড়িতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। মূল নকশাকে উপেক্ষা করে সেখানে বিমানের আদলে একটি জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এ জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

এ ধরনের অনিয়ম শুধু একটি প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ নয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরসহ বড়-ছোট অনেক প্রকল্পেই হাজার হাজার কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের নথি এখন দুদকের হাতে।

বেবিচক বলছে, ঢাকা কাস্টম হাউজসহ আশপাশে ৭টি মসজিদ থাকায় নতুন করে আলাদা মসজিদ নির্মাণসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। এতে প্রায় তিনশো কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “অপারেশনাল দিকে যত বেশি কাজ করা যায়, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে রাজস্ব বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লুটপাটে জড়িত বেবিচক ও বিমান মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

এদিকে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উন্নয়নের নামে সাধারণ মানুষের দেয়া অর্থ কোনোভাবেই লোপাটের সুযোগ দেয়া হবে না।