ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদে ৫০০ আসন, নতুন নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরিবর্তন

নির্বাচন সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত সুপারিশ হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আসনের সংখ্যা ৫০০ করার প্রস্তাব করেছে। পাশাপাশি, সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সাংসদদের নির্বাচিত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার নতুন বিধানও প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, নির্দলীয় ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার বিধান।

 

সংবিধান সংশোধন করে স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাবও করেছে কমিশন। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, উপদেষ্টা এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস হবে এবং এই সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার কথা বলেছে কমিশন।

 

এছাড়া, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনে ব্যালট পদ্ধতির পাশাপাশি ভবিষ্যতে ‘অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা’ চালুরও সুপারিশ করা হয়েছে।

 

সংসদ নির্বাচনে যদি কোনো আসনে মোট ভোটের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তবে পুননির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, ‘না ভোটের’ বিধান প্রবর্তন এবং ‘না ভোট’ বিজয়ী হলে নির্বাচন বাতিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

 

ইসি-কে নির্বাচন স্থগিত ও পুনর্নির্বাচনের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশও রয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একতরফা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে কমিশন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠিয়ে নির্বাচন স্থগিত করার সুপারিশ করেছে।

 

এই সুপারিশগুলো জাতীয় সংসদে অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে।

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদে ৫০০ আসন, নতুন নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নির্বাচন সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত সুপারিশ হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আসনের সংখ্যা ৫০০ করার প্রস্তাব করেছে। পাশাপাশি, সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সাংসদদের নির্বাচিত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার নতুন বিধানও প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, নির্দলীয় ব্যক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার বিধান।

 

সংবিধান সংশোধন করে স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাবও করেছে কমিশন। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, উপদেষ্টা এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস হবে এবং এই সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার কথা বলেছে কমিশন।

 

এছাড়া, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনে ব্যালট পদ্ধতির পাশাপাশি ভবিষ্যতে ‘অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা’ চালুরও সুপারিশ করা হয়েছে।

 

সংসদ নির্বাচনে যদি কোনো আসনে মোট ভোটের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তবে পুননির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, ‘না ভোটের’ বিধান প্রবর্তন এবং ‘না ভোট’ বিজয়ী হলে নির্বাচন বাতিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

 

ইসি-কে নির্বাচন স্থগিত ও পুনর্নির্বাচনের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশও রয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একতরফা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে কমিশন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠিয়ে নির্বাচন স্থগিত করার সুপারিশ করেছে।

 

এই সুপারিশগুলো জাতীয় সংসদে অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে।