ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

চা পান করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন?

জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে চা অনেকের প্রথম পছন্দ। দিনের শুরু থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফা চা পান করেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রায় সময় চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, সিঙ্গাড়া, চপ, পাকোড়া ইত্যাদি খেয়ে থাকেন চা প্রেমীরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চায়ের সঙ্গে এসব খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা চায়ের সঙ্গে কিছু স্ন্যাকস খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছেন।

টক জাতীয় খাবারঃ দুধ চা বা লিকার চায়ের বদলে অনেকের পছন্দ লেবু চা। তবে চায়ের মধ্যে লেবুর রস মেশানোর ফলে শরীরের পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। লেবু চা খাওয়ার পর অনেকেই মুখে টক টক স্বাদ অনুভব করেন, যা সাধারণত অ্যাসিডিটির লক্ষণ। আবার দুধ চায়ের সঙ্গে পাপড়ি চাট, দইবড়া, ভেলপুরি বা ফুচকার মতো চাট জাতীয় খাবার খেলেও একই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যাসিডিটি এড়াতে চায়ের সঙ্গে টক জাতীয় খাবার এড়ানো উচিত।

মসলাদার খাবারঃ চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিছু মসলার নিজস্ব সুঘ্রাণ থাকে, যা চায়ের স্বাদ নষ্ট করে দিতে পারে। রসুন, পেঁয়াজ, গরম সস, তরকারি বা মরিচের মতো মসলাযুক্ত খাবার চায়ের সঙ্গে খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, মসলার তীব্র ঘ্রাণ চায়ের সৌরভ উপভোগে বাধা সৃষ্টি করে।

ভাজাভুজিঃ স্ন্যাকস হিসেবে অনেকেই ভাজা খাবার পছন্দ করেন। চায়ের সঙ্গে চপ, শিঙাড়া বা কাটলেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবার পেটের গোলমাল ও বদহজমের কারণ হতে পারে। লিকার চা বা ভেষজ চা হজম করা সহজ হলেও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

চায়ের সঙ্গে কেক, বিস্কুটের মতো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলে অনেকেই চলতে পারেন না। তবে এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে বদহজমও হতে পারে।

সাধারণত চায়ের সঙ্গে হালকা ও স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া যেতে পারে। ফাইবার বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্যাফেইন শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে চায়ের প্রশান্তি নেওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানো ঠিক নয়।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

চা পান করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন?

প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে চা অনেকের প্রথম পছন্দ। দিনের শুরু থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফা চা পান করেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রায় সময় চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, সিঙ্গাড়া, চপ, পাকোড়া ইত্যাদি খেয়ে থাকেন চা প্রেমীরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চায়ের সঙ্গে এসব খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা চায়ের সঙ্গে কিছু স্ন্যাকস খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছেন।

টক জাতীয় খাবারঃ দুধ চা বা লিকার চায়ের বদলে অনেকের পছন্দ লেবু চা। তবে চায়ের মধ্যে লেবুর রস মেশানোর ফলে শরীরের পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। লেবু চা খাওয়ার পর অনেকেই মুখে টক টক স্বাদ অনুভব করেন, যা সাধারণত অ্যাসিডিটির লক্ষণ। আবার দুধ চায়ের সঙ্গে পাপড়ি চাট, দইবড়া, ভেলপুরি বা ফুচকার মতো চাট জাতীয় খাবার খেলেও একই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যাসিডিটি এড়াতে চায়ের সঙ্গে টক জাতীয় খাবার এড়ানো উচিত।

মসলাদার খাবারঃ চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিছু মসলার নিজস্ব সুঘ্রাণ থাকে, যা চায়ের স্বাদ নষ্ট করে দিতে পারে। রসুন, পেঁয়াজ, গরম সস, তরকারি বা মরিচের মতো মসলাযুক্ত খাবার চায়ের সঙ্গে খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, মসলার তীব্র ঘ্রাণ চায়ের সৌরভ উপভোগে বাধা সৃষ্টি করে।

ভাজাভুজিঃ স্ন্যাকস হিসেবে অনেকেই ভাজা খাবার পছন্দ করেন। চায়ের সঙ্গে চপ, শিঙাড়া বা কাটলেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সতর্ক হওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবার পেটের গোলমাল ও বদহজমের কারণ হতে পারে। লিকার চা বা ভেষজ চা হজম করা সহজ হলেও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

চায়ের সঙ্গে কেক, বিস্কুটের মতো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলে অনেকেই চলতে পারেন না। তবে এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে বদহজমও হতে পারে।

সাধারণত চায়ের সঙ্গে হালকা ও স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া যেতে পারে। ফাইবার বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্যাফেইন শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে চায়ের প্রশান্তি নেওয়ার চেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানো ঠিক নয়।