ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক হিন্দুত্ববাদী স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম কিশোরকে মারধর বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের হায়দারাবাদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ করল অন্তবর্তী সরকারের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কাশ্মীরে আরও দুই যুবকের সম্পদ জব্দ করলো ভারতীয় পুলিশ চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ

আনুমানিক ৮২৫ একক কনটেইনার ভর্তি নতুন জাহাজ আসছে পাকিস্তানের করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে।

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ফের কনটেইনার ভর্তি একটি নতুন জাহাজ আসছে। আগামী শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এবার জাহাজটিতে আনুমানিক ৮২৫ একক কনটেইনার রয়েছে, যা গতবারের চেয়ে বেশি।

এই জাহাজটি কনটেইনার নামানোর পর অন্তত ১,২০০ একক কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, কনটেইনারের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগবে, কারণ বন্দর জলসীমায় পৌঁছানোর পর তা হিসাব করা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুটি দেশের মধ্যে কনটেইনার চলাচল বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত নভেম্বর থেকে পাকিস্তান ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথমবার পাকিস্তান থেকে ৩৭০ একক কনটেইনার চট্টগ্রামে আনা হয়, যার মধ্যে ২৯৭ কনটেইনার পাকিস্তান থেকে এবং বাকি কনটেইনারগুলো আমিরাত থেকে এসেছে।

এবারের জাহাজে কনটেইনারের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় পণ্য আমদানির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিপিং কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা জানিয়েছেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার কনটেইনার আনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি জাহাজ প্রতি ৩৮-৪২ দিনে একবার চট্টগ্রাম পৌঁছাচ্ছে। এছাড়া, কনটেইনারের সংখ্যা আরও বাড়লে এই রুটে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

শিপিং কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত এই রুটে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ ও ভোগ্যপণ্য ইত্যাদি পণ্য আনা হয়। তবে, বর্তমানে কোন পণ্য রয়েছে তা জানতে হলে শিপিং কোম্পানি কর্তৃক পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এটি বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করার দিকে একটি নতুন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জনপ্রিয়

কুরআনী আইনকে কটাক্ষ করে দেয়া নারী অধিকার সংস্কারের প্রস্তাবনা কমিটিসহ বাতিল এবং আরোও বেশ কিছু দাবী নিয়ে আগামী ৩ মে হেফাজতের মহাসমাবেশের ডাক

আনুমানিক ৮২৫ একক কনটেইনার ভর্তি নতুন জাহাজ আসছে পাকিস্তানের করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে।

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ফের কনটেইনার ভর্তি একটি নতুন জাহাজ আসছে। আগামী শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এবার জাহাজটিতে আনুমানিক ৮২৫ একক কনটেইনার রয়েছে, যা গতবারের চেয়ে বেশি।

এই জাহাজটি কনটেইনার নামানোর পর অন্তত ১,২০০ একক কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, কনটেইনারের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগবে, কারণ বন্দর জলসীমায় পৌঁছানোর পর তা হিসাব করা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুটি দেশের মধ্যে কনটেইনার চলাচল বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত নভেম্বর থেকে পাকিস্তান ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথমবার পাকিস্তান থেকে ৩৭০ একক কনটেইনার চট্টগ্রামে আনা হয়, যার মধ্যে ২৯৭ কনটেইনার পাকিস্তান থেকে এবং বাকি কনটেইনারগুলো আমিরাত থেকে এসেছে।

এবারের জাহাজে কনটেইনারের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় পণ্য আমদানির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিপিং কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা জানিয়েছেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার কনটেইনার আনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি জাহাজ প্রতি ৩৮-৪২ দিনে একবার চট্টগ্রাম পৌঁছাচ্ছে। এছাড়া, কনটেইনারের সংখ্যা আরও বাড়লে এই রুটে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

শিপিং কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত এই রুটে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ ও ভোগ্যপণ্য ইত্যাদি পণ্য আনা হয়। তবে, বর্তমানে কোন পণ্য রয়েছে তা জানতে হলে শিপিং কোম্পানি কর্তৃক পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এটি বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করার দিকে একটি নতুন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।