ঢাকা , বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করল কারিগরি ছাত্র আন্দোলন এনআইডি সংশোধনে গতি আনতে ইসির নতুন ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে বিশ্ব ব্যাংকের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল কুয়েটের রোকেয়া হলের তালা ভেঙে ঢুকলেন ছাত্রীরা, আন্দোলন চলছে অনড়ভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাঘাটা উপজেলা বিএনপি নেতা সেলিম আহম্মেদ তুলিপ অব্যাহতি শাহাব উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনছে সরকার গুম প্রতিরোধে অধ্যাদেশ আনছে সরকার: আইন উপদেষ্টা সাত দেশের ১৭ হাজার প্রবাসী ভোটারের আবেদন অনুমোদন

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

চ্যাম্পিয়নরা খেললো চ্যাম্পিয়নদের মতোই।২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শিরোপা জেতার পর, ২০২৪ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪৫ রানে হারিয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল।

শুক্রবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে ১৮৩ রানে অলআউট করে দেয় আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমনরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ৮ চার ৪ ছক্কায় ১৩৩ বল খেলে ১০৩ রানের অকুতোভয় ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

৫ বলে ০ রানে ওপেনার জাওয়াদ আবরার আউট হলে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপরই বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পরবর্তী দুই ব্যাটার কালাম সিদ্দিকি ও আজিজুল হাকিম তামিম। ১৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা।

১১০ বলে ৬৬ রান করে ওপেনার কালাম সিদ্দিকি আউট হলে জুটি ভাঙে। ৫ চার আর এক ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। আল্লাহ গজনফারের বলে বোল্ডা হন তিনি।

নতুন ব্যাটার দেবাশীষ দেবা দাঁড়াতে পারেননি। ৬ বলে ১ রান করে বিদায় নেন। ১০ রানের বেশি করতে পারেননি মোহাম্মদ শিহাব জেমস। আজিজুল তাদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন। রিজান আহমেদ করেন ৯ বলে ৫ রান

৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আজিজুল। নুরিস্তানি ওমরজাইয়ের পরের বলে উজাইরুল্লাহর হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১০ বলে ১১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রাফিউজ্জামান রাফি। তার সঙ্গে ছিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। এতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২৮ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই থিতু হয়ে খেলার চেষ্টা করে আফগানিস্তান। এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে আফগানদের ছিল ১৩৭ রান। তখন ৩৫ ওভারের খেলা শেষ। যে কারণে রানেরও একট চাপ পড়ে আফগানদের ওপর।

শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে পতন শুরু হয় আফগানদের। ৪৬ রানে হারায় ৭ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় আফগানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৫৮ রানের (৬ চার এক ছক্কা) ইনিংস খেলেন ফয়সাল খান আহমেদজাই। ৬০ বলে ৩৪ রান করেন নাসের খান মারুফখিল।

আফগানিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আব্দুল আজিজ, নুরিস্তানি ওমরজাই, খাতির স্ট্যানিকজাই। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমন।

ম্যাচসেরা হন আজিজুল হাকিম তামিম।

জনপ্রিয়

ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করল কারিগরি ছাত্র আন্দোলন

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

প্রকাশিত: ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

চ্যাম্পিয়নরা খেললো চ্যাম্পিয়নদের মতোই।২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শিরোপা জেতার পর, ২০২৪ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪৫ রানে হারিয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল।

শুক্রবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে ১৮৩ রানে অলআউট করে দেয় আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমনরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ৮ চার ৪ ছক্কায় ১৩৩ বল খেলে ১০৩ রানের অকুতোভয় ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

৫ বলে ০ রানে ওপেনার জাওয়াদ আবরার আউট হলে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপরই বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পরবর্তী দুই ব্যাটার কালাম সিদ্দিকি ও আজিজুল হাকিম তামিম। ১৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা।

১১০ বলে ৬৬ রান করে ওপেনার কালাম সিদ্দিকি আউট হলে জুটি ভাঙে। ৫ চার আর এক ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। আল্লাহ গজনফারের বলে বোল্ডা হন তিনি।

নতুন ব্যাটার দেবাশীষ দেবা দাঁড়াতে পারেননি। ৬ বলে ১ রান করে বিদায় নেন। ১০ রানের বেশি করতে পারেননি মোহাম্মদ শিহাব জেমস। আজিজুল তাদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন। রিজান আহমেদ করেন ৯ বলে ৫ রান

৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আজিজুল। নুরিস্তানি ওমরজাইয়ের পরের বলে উজাইরুল্লাহর হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১০ বলে ১১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রাফিউজ্জামান রাফি। তার সঙ্গে ছিলেন ইকবাল হোসেন ইমন। এতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২৮ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই থিতু হয়ে খেলার চেষ্টা করে আফগানিস্তান। এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে আফগানদের ছিল ১৩৭ রান। তখন ৩৫ ওভারের খেলা শেষ। যে কারণে রানেরও একট চাপ পড়ে আফগানদের ওপর।

শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে পতন শুরু হয় আফগানদের। ৪৬ রানে হারায় ৭ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় আফগানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৫৮ রানের (৬ চার এক ছক্কা) ইনিংস খেলেন ফয়সাল খান আহমেদজাই। ৬০ বলে ৩৪ রান করেন নাসের খান মারুফখিল।

আফগানিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আব্দুল আজিজ, নুরিস্তানি ওমরজাই, খাতির স্ট্যানিকজাই। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমন।

ম্যাচসেরা হন আজিজুল হাকিম তামিম।