নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। তিনদিন পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুনের উত্তাপ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দখলদার দেশটির সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
৩০ এপ্রিল, বুধবার অধিকৃত জেরুজালেমের পশ্চিমে এসতাওল বন থেকে আগুন শুরু হয়ে মেসিলাত জিওন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চ তাপমাত্রা, কম আর্দ্রতা ও প্রবল বাতাস দাবানলকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান একে ‘সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানল’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইসরায়েলের বন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জিউইশ ন্যাশনাল ফান্ড জানিয়েছে, প্রধান আগুনগুলো নিয়ন্ত্রণে আসলেও কিছু এলাকায় এখনো আগুন জ্বলছে ।
২মে, শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার একর জমি আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে দুই হাজার একর ছিল বনাঞ্চল।
আগুনের কারণে বুধবার তিনটি ক্যাথলিক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তারা নিজেদের বাসস্থানে ফিরলেও তাদের কৃষিজমি, আঙুর ও জলপাই বাগান, এবং ভবন সব কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে।
ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতির বাতাস পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় বলেছে, পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া বাতাসের কারণে আগুন সহজেই জেরুজালেম শহরের প্রান্তে, এমনকি শহরের ভেতরেও পৌঁছে যেতে পারে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগুনের কারণে অনেকেই গাড়ি ফেলে পালাচ্ছে। কিছু সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, দাবানল আক্রান্ত এলাকায় ১৫৫টি অগ্নিনির্বাপক দল এবং এলাদ স্কোয়াড্রনের অগ্নিনিবারণ প্লেন মোতায়েন করা হয়েছে।