ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশপ্রেম শেখাতে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শ্রেণি থেকেই দেওয়া হবে সামরিক প্রশিক্ষণ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর ট্রাক-ট্রলারে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‍্যাব ভৈরব নদে কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবি, নৌ চলাচল বন্ধ

ধর্ষণ মামলার আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত: আইন উপদেষ্টা

ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আইন উপদেষ্টা  আসিফ নজরুল।

 

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল আরো জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারকাজের সময় কমিয়ে অর্ধেক করার লক্ষ্যে সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, “ধর্ষণের মামলার বিচার শুধু দ্রুতই নয়, বরং ন্যায়সঙ্গত ও সঠিকভাবে নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া আইন তৈরি করেছি এবং এটি অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আইনটি কঠোর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

 

সংশোধিত আইনে যা থাকছে নতুন খসড়া অনুযায়ী:

  • ধর্ষণ মামলার তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হচ্ছে।
  • বিচার কাজ শেষ করার সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চালানোর বিধান রাখা হয়েছে।

 

বৈঠকে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীরা মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। আইন উপদেষ্টা আশ্বস্ত করে বলেন, “এই মামলার আসামিদের ডিএনএ নমুনা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। ন্যায়বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে নজরদারি থাকবে।”

 

তারা আরও দাবি করেন:

১.ধর্ষণ মামলার জন্য বিশেষ আদালত গঠন।

২.কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে বিশেষ সেল গঠন।

৩.উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানি রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন।

 

আইন উপদেষ্টা জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলের পাশাপাশি রাস্তাঘাটেও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বিত (কম্প্রিহেনসিভ) আইন প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা সিরিয়াসলি এ বিষয়ে চিন্তা করছি এবং আইনটি আরও জোরালো করার চেষ্টা করব।”

 

সরকারের এ পদক্ষেপ ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত ও কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

জনপ্রিয়

মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

ধর্ষণ মামলার আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত: আইন উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আইন উপদেষ্টা  আসিফ নজরুল।

 

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল আরো জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারকাজের সময় কমিয়ে অর্ধেক করার লক্ষ্যে সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, “ধর্ষণের মামলার বিচার শুধু দ্রুতই নয়, বরং ন্যায়সঙ্গত ও সঠিকভাবে নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া আইন তৈরি করেছি এবং এটি অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আইনটি কঠোর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

 

সংশোধিত আইনে যা থাকছে নতুন খসড়া অনুযায়ী:

  • ধর্ষণ মামলার তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হচ্ছে।
  • বিচার কাজ শেষ করার সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চালানোর বিধান রাখা হয়েছে।

 

বৈঠকে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীরা মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। আইন উপদেষ্টা আশ্বস্ত করে বলেন, “এই মামলার আসামিদের ডিএনএ নমুনা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। ন্যায়বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে নজরদারি থাকবে।”

 

তারা আরও দাবি করেন:

১.ধর্ষণ মামলার জন্য বিশেষ আদালত গঠন।

২.কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে বিশেষ সেল গঠন।

৩.উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানি রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন।

 

আইন উপদেষ্টা জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলের পাশাপাশি রাস্তাঘাটেও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বিত (কম্প্রিহেনসিভ) আইন প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা সিরিয়াসলি এ বিষয়ে চিন্তা করছি এবং আইনটি আরও জোরালো করার চেষ্টা করব।”

 

সরকারের এ পদক্ষেপ ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত ও কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।