ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান খাবার আনতে যাওয়া ২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশপ্রেম শেখাতে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শ্রেণি থেকেই দেওয়া হবে সামরিক প্রশিক্ষণ আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৫টি স্কুল নির্মাণ করেছে তালেবান সরকার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর ট্রাক-ট্রলারে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‍্যাব ভৈরব নদে কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবি, নৌ চলাচল বন্ধ

লালমনিরহাটে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, টাকা না পেয়ে হত্যা

লালমনিরহাটে ১০ বছর বয়সী শাকিল নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু শাকিলের মরদেহ উদ্ধার ও তিনজনকে আটকরে বিষয়টি লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) ফজলুল হক নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে গতকাল (১০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকার আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শাকিল অপহরণ হয়। পরে ওইদিন বিকেলে মোবাইল নাম্বার থেকে করে শাকিলের মা জয়নবের নিকট তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত নেমে একই এলাকার সহিদুল ও তার ছেলে সোহানকে আটক করে। পরদিন (১১ মার্চ) দুপুরে আটক করা হয় সোহানের মা সাহানাকে। পরে আটককৃত সোহানের দেওয়া তথ্য মতে অপহরণের পরদিন(আজ) সহিদুলের বাড়ি সংলগ্ন একটি কাচা সেপটিক ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজ্জাক বলেন, গতকাল বিকেলে শুনেছি শিশু শাকিল অপহরণ হয়েছে। পরে টাকা দাবি করে শাকিলের মায়ের মোবাইল কল করে অপহরণকারীরা। অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানায় শাকিলের পরিবার। আজ মরদেহ উদ্ধার হলো। এ হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই এলাকার মজিবর রহমান জানান, অপহরণ ও হত্যা কান্ডে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত। প্রায় একই মন্তব্য করে শাকিল হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি সচেতন সকলের।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরনবী বলেন, শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) এ.কে.এম ফজলল হক বলেন, শিশু শাকিলকে অপহরণ ও হত্যা ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক সোহানের দেওয়া তথ্যেই শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। শাকিলকে অপহরণ ও হত্যার কারণ ও হত্যায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত ও আটককৃতদের আরো জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

লালমনিরহাটে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, টাকা না পেয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

লালমনিরহাটে ১০ বছর বয়সী শাকিল নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু শাকিলের মরদেহ উদ্ধার ও তিনজনকে আটকরে বিষয়টি লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) ফজলুল হক নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে গতকাল (১০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকার আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শাকিল অপহরণ হয়। পরে ওইদিন বিকেলে মোবাইল নাম্বার থেকে করে শাকিলের মা জয়নবের নিকট তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত নেমে একই এলাকার সহিদুল ও তার ছেলে সোহানকে আটক করে। পরদিন (১১ মার্চ) দুপুরে আটক করা হয় সোহানের মা সাহানাকে। পরে আটককৃত সোহানের দেওয়া তথ্য মতে অপহরণের পরদিন(আজ) সহিদুলের বাড়ি সংলগ্ন একটি কাচা সেপটিক ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজ্জাক বলেন, গতকাল বিকেলে শুনেছি শিশু শাকিল অপহরণ হয়েছে। পরে টাকা দাবি করে শাকিলের মায়ের মোবাইল কল করে অপহরণকারীরা। অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানায় শাকিলের পরিবার। আজ মরদেহ উদ্ধার হলো। এ হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই এলাকার মজিবর রহমান জানান, অপহরণ ও হত্যা কান্ডে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত। প্রায় একই মন্তব্য করে শাকিল হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি সচেতন সকলের।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরনবী বলেন, শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) এ.কে.এম ফজলল হক বলেন, শিশু শাকিলকে অপহরণ ও হত্যা ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক সোহানের দেওয়া তথ্যেই শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। শাকিলকে অপহরণ ও হত্যার কারণ ও হত্যায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত ও আটককৃতদের আরো জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।