বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা বেড়িবাঁধ এলাকায় সাকি আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য ও যৌতুকের জন্য সাকি আক্তারকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের চৌকি সিকদার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে। খবর পেয়ে সোমবার (৫ মে) সকালে আত্মীয় স্বজনরা সাকি আক্তারকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ধারণা করা হচ্ছে রাতেই সাকি আক্তারকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর স্বামী আজগর হোসাইন পালিয়ে যান। তাদের সংসারে ২ বছর বয়সি এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম বড়ঘোনা চৌকি সিকদার বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ে সাকি আক্তারের সাথে একই ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায় নুরুল ইসলাম প্রকাশ মুলুইক্যার ছেলে আজগর হোসাইনের ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। ব্যাংকের কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত।
গৃহবধূ সাকি আক্তারের চাচা নুরুন্নবী জানান, এক মাস আগেও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এক লাখ টাকা স্বামীর ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। মেয়ের জামাইকে অটোরিকশা কিনে দেয়া হয়েছে। এতকিছুর পরও ভাতিজিকে বাঁচানো গেলনা। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গলায় আঘাতের চিন্হ রয়েছে।
নিহত সাকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন জানান, আমার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এর আগেও তার বড় ভাই হাসান নুর স্ত্রীকে হত্যা করেছিল। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তবুও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।