ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে, ঐকমত্য কমিশনকে কাজ করার আহ্বান: ছাত্র জনতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানরত ছাত্রজনতা ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কাজ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চিঠি পাঠালেও তাতে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উল্লেখ নেই। অথচ ফ্যাসিবাদী দল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে সব সংস্কারের পরিণতি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মতোই হবে। এ অবস্থায় সবার আগে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা জরুরি।

 

মঙ্গলবার গণঅবস্থানের ২৭তম দিনে এসব কথা বলেন ছাত্রজনতার সংগঠক ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের পতনের পর ফ্যাসিবাদী দল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ না করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পঞ্চম সংশোধনী হয়েছিল। কিন্তু সেই সংশোধনীর ফলে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয়। এর ভয়াবহ পরিণাম শুরু হয় শহীদ জিয়াকে হত্যার মাধ্যমে এবং শেষ হয় চব্বিশের জুলাই গণহত্যার মাধ্যমে।

 

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ না করার ঐতিহাসিক পরিণাম স্পষ্ট হওয়ার পর নতুন করে শুধু সংস্কারের কোনো মানে নেই। তাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উচিত জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ও অর্থের অপচয় না করে ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়্যেদ কুতুব, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াসিম আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ ও সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজু ভাস্কর্যে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার পাঁচদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহের ধারাবাহিকতায় গণইফতার আয়োজন করা হচ্ছে। গণইফতারে ছাত্রদের সঙ্গে রিকশাচালক ও পথচারীরাও অংশ নিচ্ছেন।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে, ঐকমত্য কমিশনকে কাজ করার আহ্বান: ছাত্র জনতা

প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানরত ছাত্রজনতা ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কাজ করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চিঠি পাঠালেও তাতে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উল্লেখ নেই। অথচ ফ্যাসিবাদী দল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে সব সংস্কারের পরিণতি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মতোই হবে। এ অবস্থায় সবার আগে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা জরুরি।

 

মঙ্গলবার গণঅবস্থানের ২৭তম দিনে এসব কথা বলেন ছাত্রজনতার সংগঠক ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের পতনের পর ফ্যাসিবাদী দল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ না করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পঞ্চম সংশোধনী হয়েছিল। কিন্তু সেই সংশোধনীর ফলে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয়। এর ভয়াবহ পরিণাম শুরু হয় শহীদ জিয়াকে হত্যার মাধ্যমে এবং শেষ হয় চব্বিশের জুলাই গণহত্যার মাধ্যমে।

 

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ না করার ঐতিহাসিক পরিণাম স্পষ্ট হওয়ার পর নতুন করে শুধু সংস্কারের কোনো মানে নেই। তাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উচিত জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ও অর্থের অপচয় না করে ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়্যেদ কুতুব, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াসিম আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ ও সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজু ভাস্কর্যে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার পাঁচদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহের ধারাবাহিকতায় গণইফতার আয়োজন করা হচ্ছে। গণইফতারে ছাত্রদের সঙ্গে রিকশাচালক ও পথচারীরাও অংশ নিচ্ছেন।