ঢাকা , মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে আরাফা: তাওবা ও রহমতের মহান দিন হামজা চৌধুরীর আগমনে জোয়ার বাংলাদেশ ফুটবলে, ভুটানের বিপক্ষে আজ প্রস্তুতি ম্যাচ রিলসের নামে অশ্লীলতার প্রতিযোগিতা: ভিউয়ের পেছনে দৌড়ে সমাজ হারাচ্ছে মূল্যবোধ আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা ভাঙ্গায় মাহিন্দ্রা-বাস সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, আহত ৩ মাদরাসা ধ্বংস ঠেকাতে সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ মাংস বিক্রেতাদের সরাসরি গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ভারতের গাজিয়াবাদ বিধায়ক গুর্জ ইসরাইলের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন ও ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল করেছে স্পেন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি: এনবিআর চেয়ারম্যান

পুতিনকে হাতি উপহার দিলেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হাতি উপহার দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

কিছুদিন আগে রাশিয়ার কাছ থেকে ৬টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ জান্তাপ্রধানের হাতি উপহার দেওয়াকে রাশিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার হাতি কূটনীতির অংশ বলে উল্লেখ করেছেন ইতোমধ্যেই।

মঙ্গলবার মস্কো সফরে গিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান। সেখানে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পাশাপাশি মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেন জেনারেল হ্লেইং। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি রোসাটমের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে এই কেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনক্ষমতা হবে ১০০ মেগাওয়াটে এবং নির্মাণ হওয়ার পর কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বেও থাকবে রোসাটম।

২০০০ সালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল রাশিয়া এবং মিয়ানমারের মধ্যে। জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সেই চুক্তির বিষয়টি টেনে পুতিন বলেন, “চলতি বছর আমারা আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তির ২৫তম বার্ষিকী পালন করব। মিয়ানমার এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।”

পুতিন আরও বলেন, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ। উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুতিন বলেন, “আপনার এই বন্ধুত্বপূর্ণ উপহারের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। হাতিগুলোকে ইতোমধ্যে মস্কোর চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় দুই মিত্রের নাম চীন এবং রাশিয়া। ২০২১ সালে যখন জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বে এক অভ্যুত্থানে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী, সে সময় জান্তাকে সমর্থন করেছিল মস্কো। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমরাস্ত্র সরবরাহের একটি বড় অংশ আসে রাশিয়া থেকে।

আগামী ৯ মে জাতীয় দিবস উপলক্ষে মস্কোতে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। সেই কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে নিমন্ত্রণ করেছেন পুতিন।

সূত্র রয়টার্স

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে

পুতিনকে হাতি উপহার দিলেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

প্রকাশিত: ০১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হাতি উপহার দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

কিছুদিন আগে রাশিয়ার কাছ থেকে ৬টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ জান্তাপ্রধানের হাতি উপহার দেওয়াকে রাশিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার হাতি কূটনীতির অংশ বলে উল্লেখ করেছেন ইতোমধ্যেই।

মঙ্গলবার মস্কো সফরে গিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান। সেখানে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পাশাপাশি মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেন জেনারেল হ্লেইং। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি রোসাটমের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে এই কেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনক্ষমতা হবে ১০০ মেগাওয়াটে এবং নির্মাণ হওয়ার পর কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বেও থাকবে রোসাটম।

২০০০ সালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল রাশিয়া এবং মিয়ানমারের মধ্যে। জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সেই চুক্তির বিষয়টি টেনে পুতিন বলেন, “চলতি বছর আমারা আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তির ২৫তম বার্ষিকী পালন করব। মিয়ানমার এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।”

পুতিন আরও বলেন, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ। উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুতিন বলেন, “আপনার এই বন্ধুত্বপূর্ণ উপহারের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। হাতিগুলোকে ইতোমধ্যে মস্কোর চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় দুই মিত্রের নাম চীন এবং রাশিয়া। ২০২১ সালে যখন জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বে এক অভ্যুত্থানে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী, সে সময় জান্তাকে সমর্থন করেছিল মস্কো। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমরাস্ত্র সরবরাহের একটি বড় অংশ আসে রাশিয়া থেকে।

আগামী ৯ মে জাতীয় দিবস উপলক্ষে মস্কোতে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। সেই কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে নিমন্ত্রণ করেছেন পুতিন।

সূত্র রয়টার্স