ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

চবির পঞ্চম সমাবর্তন ১৪ই মে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত যারা স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তারা সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের জন্য কোর কমিটি ও ১১টি উপ–কমিটি গঠন করেছে। শীঘ্রই পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিস্তারিত বিবরণ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে। অংগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ, রেজিস্ট্রেশন ফিস ও অন্যান্য তথ্যাবলী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চম সমাবর্তন আয়োজনের এক সভা চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতারের সভাপতিত্বে এবং সমাবর্তন উদযাপন কমিটির সদস্য–সচিব ও চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় উপাচার্যের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, ছাত্র–ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় পঞ্চম সমাবর্তন মে মাসের মাঝামাঝি করার একটা খসড়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। আমরা ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাথেও কথা বলেছি। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে একটি কমিটিও করা হয়েছিল। সে কমিটির অধীনে আরো বেশ কিছু উপকমিটিও করা হয়েছে। আমরা অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।

 

ড. ইউনূসকে ডি. লিট ডিগ্রি দেবে চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি. লিট) ডিগ্রি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে চবি উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ ড. ইয়াহ্‌ইয়া আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সমাবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি. লিট. সম্মাননার মধ্য দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় সাক্ষাৎ করেছি। দুইজন সিন্ডিকেট সদস্য এবং দুইজন উপ–উপাচার্য আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে কিছুই চাইনি। আমরা সেখানে গিয়ে শুধু একটা কথাই বলেছি তা হলো, ‘আপনাকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে চাই এবং সেখানে একটি সমাবর্তনের মাধ্যমে আপনাকে ডি. লিট সম্মাননা দিতে চাই।’ তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উনার একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। তিনি আমাদের কথায় রাজি হয়েছেন। আমরা দুই ধরনের সমাবর্তনের কথা উনাকে জানিয়েছিলাম। একটি প্রধান উপদেষ্টাকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে। আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে সমাবর্তন হয় সেটা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে সমাবর্তনটি হয়, সেটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

চবির পঞ্চম সমাবর্তন ১৪ই মে

প্রকাশিত: ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত যারা স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তারা সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের জন্য কোর কমিটি ও ১১টি উপ–কমিটি গঠন করেছে। শীঘ্রই পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিস্তারিত বিবরণ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে। অংগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ, রেজিস্ট্রেশন ফিস ও অন্যান্য তথ্যাবলী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চম সমাবর্তন আয়োজনের এক সভা চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতারের সভাপতিত্বে এবং সমাবর্তন উদযাপন কমিটির সদস্য–সচিব ও চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় উপাচার্যের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, ছাত্র–ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় পঞ্চম সমাবর্তন মে মাসের মাঝামাঝি করার একটা খসড়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। আমরা ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সাথেও কথা বলেছি। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে একটি কমিটিও করা হয়েছিল। সে কমিটির অধীনে আরো বেশ কিছু উপকমিটিও করা হয়েছে। আমরা অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।

 

ড. ইউনূসকে ডি. লিট ডিগ্রি দেবে চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি. লিট) ডিগ্রি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে চবি উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ ড. ইয়াহ্‌ইয়া আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সমাবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি. লিট. সম্মাননার মধ্য দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় সাক্ষাৎ করেছি। দুইজন সিন্ডিকেট সদস্য এবং দুইজন উপ–উপাচার্য আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে কিছুই চাইনি। আমরা সেখানে গিয়ে শুধু একটা কথাই বলেছি তা হলো, ‘আপনাকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে চাই এবং সেখানে একটি সমাবর্তনের মাধ্যমে আপনাকে ডি. লিট সম্মাননা দিতে চাই।’ তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উনার একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। তিনি আমাদের কথায় রাজি হয়েছেন। আমরা দুই ধরনের সমাবর্তনের কথা উনাকে জানিয়েছিলাম। একটি প্রধান উপদেষ্টাকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে। আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে সমাবর্তন হয় সেটা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে সমাবর্তনটি হয়, সেটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।